এক চামচ লঙ্কাবাটা খেতে গিয়েছিলেন পরিণীতি চোপড়া! ছবি : সংগৃহীত।
ঝাল খেতে ভালবাসেন পরিণীতি চোপড়া। একের পর এক কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খাওয়া তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। খাবারে তাঁর এতটাই ঝাল দরকার হয় যে, সেই চাহিদা পূরণ করতে আলাদা করে বেশি লঙ্কা দিতে হয় রান্নায়। যা বাকিরা খেতে পারেন না। এক সাক্ষাৎকারে তেমনই জানিয়েছিলেন পরিণীতির বাড়ির এক পরিচারক। সেই পরিণীতি জানালেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল লঙ্কা চেখে দেখার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল লঙ্কার নাম ক্যারোলিনা রিপার। ২০১৩ সালে গিনেজ় বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওই লঙ্কাকে সবচেয়ে ঝাল লঙ্কার শিরোপা দেওয়া হয়েছিল। ঝালের সেই রেকর্ড আর কোনও লঙ্কা পেরোতে পারেনি। পরিণীতির সেই লঙ্কা চেখে দেখার সুযোগ হয়েছিল বুদাপেস্টে বেড়াতে গিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘‘ওখানে এক হোটেলে ওই লঙ্কা দিয়ে একটা চাটনির মতো কিছু বানিয়েছিল। আমি সেটা একটা গোটা চামচ খেয়েছিলাম।’’
এক চামচ ক্যারোলিনা রিপার লঙ্কাবাটা কতটা ঝাল হতে পারে, তা বোঝার জন্য একটা ছোট্ট হিসাব দেওয়া যেতে পারে। ভারতের সবচেয়ে ঝাল যে লঙ্কা, ভূত জোলোকিয়া, তাতে ঝালের মাত্রা স্কোভিল হিট ইউনিটে (ঝাল মাপার একক) ১০ লক্ষ ৪১ হাজার ৪২৭। সেই একই এককে ক্যারোলিনা রিপারে ঝালের মাত্রা হল ২২ লক্ষ ২০ হাজার। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি ঝাল।
পরিণীতি জানাচ্ছেন, রিপারের ঝাল এতটাই বেশি যে, ওই লঙ্কা কেউ খালি হাতে ধরার সাহসও করে না। ওই লঙ্কায় হাত দেওয়ার আগে গ্লাভস পরে নেন রাঁধুনিরা। রান্নাঘরে ওই লঙ্কা ঢোকানো হবে জানলে সমস্ত খাবার কাউন্টার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। যাতে ঝালের আঁচ অন্য খাবারে কোনও ভাবে না পড়ে। সেই লঙ্কাবাটাই ভাতের সঙ্গে এক চামচ খেয়েছিলেন পরিণীতি।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে পরিণীতি বলছেন, ‘‘ভারতের কোনও লঙ্কা খেয়ে আমার কোনওদিনই বিশেষ ঝাল লাগেনি। এমনও হয়েছে যে, আমার আশপাশের লোক ঝাল খেয়ে কাঁদছে, ঘামছে, লাফালাফি করছে। আর আমি সেই একই লঙ্কা খেয়ে হাসতে হাসতে ওদের জিজ্ঞাসা করেছি, তোমরা এ রকম করছ কেন?’’ মেক্সিকোয় টাবাস্কো নামের একটি অত্যন্ত ঝাল লঙ্কার চাটনি পাওয়া যায়। পরিণীতি বলছেন, ‘‘টাবাস্কো লঙ্কা জেনে আমি হেসেছিলাম। ঝালই তো নেই ওতে। তবে বুদাপেস্টে খাওয়া ওই একটিই লঙ্কা আমাকে মেরে ফেলেছিল প্রায়।’’
ক্যারোলিনা রিপার জিভে ঠেকাতেই ঝালে সারা শরীর ঝনঝনিয়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছেন পরিণীতি। অনেক কষ্টে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পেরেছিলেন নায়িকা। তা বলে পরে ঝাল খাওয়া কমাননি।
নায়িকা এখন সন্তানসম্ভবা। এখন তাঁকে বুঝে শুনে খাবার খেতে হচ্ছে ঠিকই। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পুষ্টিবিদ তাঁকে বলেছেন, ঝাল খাওয়া খারাপ কিছু নয়। বরং ঝাল বিপাকহার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু পরিমিত মাত্রায় বুঝে খেতে হবে। না হলে হজমের সমস্যা হতে পারে।