বর্ষাকালে এসি চালানোর নিয়ম। ছবি: এআই।
সারা দিন বৃষ্টি। আবহাওয়া মনোরম। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলেছে। তার পরও অনেকেই রাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ভরসায় ঘুমোতে যান। স্বাভাবিকের নীচে তাপমাত্রা না থাকলে ঘুম ভাল হয় না। এই সময়ে কোন ‘মোড’-এ এয়ার কন্ডিশনার চালানো উচিত জানেন? স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়ে কিসে? প্রবল গরমের সময়ে অধিকাংশের বাড়িতেই এসির মোড থাকে ‘কুল’-এ। যাতে ঘর দ্রুত এবং বেশি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বর্ষায় ‘ড্রাই মোড’-এ এসি চালানো উচিত। কেন জানেন?
নামেই লুকিয়ে কারণ। ‘ড্রাই’ মানে শুকনো বা শুষ্ক। বর্ষায় হাওয়ায় যে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে, তা শুষে নিতে পারে ড্রাই মোডে চালানো এসি। তাই বিশেষ মোডের আর একটি নাম, ‘ডিহিউমিডিফিকেশন’। এতে তাপমাত্রা কমে না, বরং অতিরিক্ত সিক্ত আবহাওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। কম্প্রেসর এবং ফ্যান চলে ধীর গতিতে। এসির ভিতরে এমন একটি কয়েল থাকে, যার কাজ হল, বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়া। সেটিও কাজ করতে থাকে সমানতালে। স্যাঁতসেঁতে, ভেজা আবহাওয়ার জন্য ড্রাই মোড বেশ কার্যকরী। বর্ষায় সর্দিকাশির সমস্যা দেখা দিলে বা জ্বর হলে ঘরে স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া তৈরি করা যায়।
তা ছাড়া এসির বিলও কম ওঠে এই মোডে। এসি চালিয়ে যদি বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়, তা হলে এই মোডের ব্যবহার জেনে নেওয়া উচিত। অন্য মোডের থেকে তুলনামূলক ভাবে কম শক্তি খরচ হয় ড্রাই মোডে। তার বড় কারণ, কম্প্রেসর এবং ফ্যান ধীর গতিতে চলে।