Osteoporosis symptoms

কেন মহিলাদের বাতের ব্যথা বেশি ভোগায়? অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি কোন বয়স থেকে বাড়ে?

বয়স ৩০ পেরোলেই অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে ঝুঁকি এড়াতে জীবনধারায় খানিক বদল আনা জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৪১
Share:

অস্টিয়োপোরোসিস কী, এই রোগের লক্ষণ চিনবেন কী ভাবে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

বয়স বাড়লেই নানা শারীরিক সমস্যা হানা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে, অস্থি সংক্রান্ত সমস্যা বেশি হয়। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বে বয়সজনিত কারণে হাড়ে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, তার মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। মহিলারাই বেশি ভোগেন এই রোগে। বয়স ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

কেন হয় অস্টিয়োপোরোসিস?

অস্থি বিষয়ক চিকিৎসক সুব্রত গড়াইয়ের মতে, হাড়ের গঠনে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে ‘বোন মিনারেল ইউনিট ডেনসিটি’-র, যা হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের গঠনে ভূমিকা রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসেরও। তাই, যখন এই বোন মিনারেল ইউনিট ডেনসিটি কমে যায় বা ক্যালশিয়ামের মাত্রাও কমে যায়, তখন শুরু হয় হাড়ের ক্ষয় বা দুর্বল হয়ে যাওয়া।

Advertisement

পুরুষদের ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিস দেখা দিতে পারে। মহিলাদের মধ্যে অবশ্য এই সমস্যা দেখা দেয় আরও কম কম বয়স থেকে। ত্রিশের পর থেকে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব বেশি হলে এই রোগ দেখা দিতে থাকে। আবার রজোনিবৃত্তির পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে হাড় দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না হলেও ছোট থেকেই জীবনধারা নিয়ে সচেতন থাকলে পরবর্তীতে তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছোয় না।

যদি কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় অস্টিয়োপোরোসিস হয়, তা হলে হালকা চাপ পড়লেই সে জায়গায় ব্যথা বাড়তে থাকে। মূলত কোমর, হাঁটুতে অসম্ভব ব্যথা হয় তখন। মেরুদণ্ড বেঁকে যেতে পারে, কখনও আবার পা বেঁকে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। অনেককেই কুঁজো হয়ে হাঁটতে দেখা যায়।

কী ভাবে শরীরের যত্ন নেবেন?

১) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম, যোগাসন করার অভ্যাস হাড়ের যত্ন নিতে সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় হ্রাস করে। বয়স নির্বিশেষে সকলের নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। শুধু অস্টিয়োপোরোসিস নয়, হাড়ের অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন।

২) হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালশিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বহু ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার এবং হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস হল সূর্যালোক। এ ছাড়াও দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিম, বিভিন্ন মরসুমি ফল, মাছের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার অস্টিয়োপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

৩) বিভিন্ন প্রকার মাছ, বাদাম, ব্রকোলির মতো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে। শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে। ক্যালশিয়াম অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement