সফরে গেলে বাড়িতে তৈরি একটিই জলখাবার সঙ্গে রাখেন নীনা গুপ্ত। ছবি : সংগৃহীত।
সফরে দীর্ঘ ক্ষণ পথে থাকতে হলে খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। হাইওয়ে হোক বা রেলপথ এমনকি, বিমানে সফরেও টানা আসনে বসে থাকতে থাকতে খিদে পায় বা বলা ভাল এটা সেটা খাওয়ার ইচ্ছে হয়।
রেল সফরে ট্রেনে ওঠা নানা টুকটাক মুখচালানোর খাবার, চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস প্রায় প্রত্যেকেরই আছে। গাড়িতে হাইওয়ে ধরে দীর্ঘ সফরে বেরোলে খাবারের জোগানদার হয় ছোটবড় ধাবা। বিমানবন্দরেও নানারকম খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে সে সবই বাইরের খাবারদাবার। অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত জানাচ্ছেন, তিনি বাইরে বেরোলে বাইরের খাবার খাওয়ার থেকে বাড়ির খাবার সঙ্গে রাখাই পছন্দ করেন। কারণ বাইরে কখন কী পাওয়া যাবে তিনি জানেন না। তা স্বাস্থ্যকর হবে কি না তা-ও জানেন না। অন্য দিকে বাড়ির খাবার সঙ্গে থাকলে সেই ভয় নেই।
বাইরে বাড়ির খাবার খাওয়ার কিছু সমস্যা থাকে অবশ্য। কৌটো থেকে বার করা, থালায় পরিবেশন করা, কাঁটা বা চামচ কিংবা হাতের ব্যবহার। সে ক্ষেত্রে হাত ধোয়ারও একটা ব্যাপার থাকে। নীনা অবশ্য জানাচ্ছেন তিনি বাইরে গেলে যে খাবারটি সঙ্গে রাখেন, সেটি পরিবেশন করার ঝক্কি নেই, হাত লাগিয়ে খেলেও হাত ধোয়ার চিন্তা করতে হয় না। কারণ হাতে খাবার লাগে না। এর পাশাপাশি খাবারটি পুষ্টিকরও, নানারকম ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ।
বর্ণণা শুনে ধাঁধা মনে হতে পারে। তবে উত্তরটি সোজা। নীনা জানিয়েছেন, তিনি সফরে বেরোলে সঙ্গে রাখেন রুটি রোল। বিমানবন্দরের ওয়েটিং লাউঞ্জে চেয়ারে বসে সেই রুটি রোল খাওয়ার ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, কী ভাবে তিনি ওই রুটি রোল বানান তার রেসিপিও।
বাড়ি থেকে রুটি রোল বানিয়ে টিফিনবক্সে রাখেন নীনা।
নীনার তৈরি ওই রুটি রোল আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন। কী ভাবে বানাবেন? নীনা বলছেন, ‘‘রুটির মধ্যে আলু, পনির, পেঁয়াজ, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম মুড়ে কাগজে মুড়িয়ে একটা টিফিনবক্সে ভরে নিই।’’ চাইলে আলু মশলায় নেড়ে নিতে পারেন, পনির না খেলে তার বদলে দিতে পারেন সেদ্ধ ডিম, স্ক্র্যাম্বলড এগ, সয়াবিন কিংবা সেদ্ধ করা চিকেন। সঙ্গে দিতে পারেন পছন্দের সব্জিও। রুটি রোলের ভিতরের পুর ইচ্ছে মতো বদলে বদলে নিলে স্বাদে একঘেয়েমিও আসবে না।
নীনা জানাচ্ছেন, তাঁর এই বেড়ানোর টিফিন যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকরও। তিনি বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় এটা বাইরে বেরিয়েও সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দারুণ আইডিয়া। আপনারাও বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।’’ নীনার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন তাঁরাও, যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন বা নিজের জীবনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আনতে চাইছেন।