কলা-দুধের শেক কেন খাওয়াবেন সন্তানকে?
দুধ খেতে অনেক খুদেই পছন্দ করে না। তবে দুধের মধ্যে কলা, কাঠবাদাম গুলে দিলে— সেই খাবারটি আবার বিনা বায়নায় খেয়ে নেয় তারা। ‘বানানা শেক’ বা কলার শেক শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিকরও বটে। দুধের চেয়ে কলার শেকে উপকারিতাও বেশি।
পুষ্টি দ্বিগুণ: দুধে মেলে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। কলায় পাওয়া যায় পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ়, ডায়েটরি ফাইবার, প্রাকতিক শর্করা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দুধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে পুষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
হাড়: দুধ এবং কলার শেকে মেলে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি। হাড় ও দাঁত শক্ত করতে প্রতিটি উপাদানই জরুরি। ফলে এই পানীয় হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করবে। শিশুর বেড়ে ওঠার সময় তা খুব জরুরি।
পেশি গঠনে সহায়ক: মাংসপেশি মজবুত করতে প্রোটিন জরুরি। দুধে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড সেই কাজে সাহায্য করে। এতে কাঠাবাদাম মিশিয়ে নিলে বাদাম থেকেও প্রোটিন পাবে শরীর। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সহায়ক।
শক্তি জোগায়: কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। কলা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। শিশুরা এমনিতেই ছটফটে, খেলাধুলো করে। ফলে তাদের শক্তি জোগানোর জন্য কলা খুব উপকারী। দুধ দিয়ে কলার শেক খেলে, পেট ভরা থাকবে, শরীর সবল হবে।
হজম: কলায় রয়েছে ডায়েটরি ফাইবার। হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তা ছাড়া, কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। পেট পরিষ্কার রাখতে তা সাহায্য করে।
কলা এবং দুধের সঙ্গে কয়েকটি ভেজানো কাঠবাদাম বা আখরোট দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে কলার শেক বানান। মিষ্টির জন্য চিনির বদলে খেজুর এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন। বাদাম এবং আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও। দুধের চেয়ে শেক খেতেও সুস্বাদু হয়।