Constipation Problem

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে রোজ মেজাজ বিগড়ে থাকে? সকালে উঠে একটি কাজ করলেই পেটের গোলমাল কমবে

খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের জেরে বড়রা শুধু নন, ছোটদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ইদানীং খুব বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজের ডায়েটে কিছু বদল আনলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৭
Share:

কোন দাওয়াইয়ে নিস্তার পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ছবি: সংগৃহীত।

কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই একটা সমস্যা মানুষের মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে। পেট পরিষ্কার হলে তবেই তো মুখে হাসি ফুটবে। মেজাজও থাকবে ফুরফুরে। কিন্তু সকাল সকাল শৌচালয়ে গিয়েই যদি তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, তা হলে দিনের সমস্ত কাজই পণ্ড হতে বসে। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের জেরে বড়রা শুধু নন, ছোটদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ইদানীং খুব বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজের ডায়েটে কিছু বদল আনলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই একগাদা ওষুধ খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। বাজারচলতি সাপ্লিমেন্টও ক্ষতিকর। ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে। এর জন্য দরকার সামান্য আয়োজন। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল আর এক চামচ ঘি।

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ ঘি মেশাতে হবে। ভাল ফল পেতে হল, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তা খেতে হবে। ঘি খেলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর হয়। ঘি অন্ত্রের পথ পরিষ্কার করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। ঘি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমে, বাড়ে উপকারী কোলেস্টেরল। ঘিয়ের মধ্যে আছে বিউটিরেট। কোলনকে সুস্থ রাখতে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ঘি।

Advertisement

শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, সকালে গরম জলে ঘি মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাসের আরও স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে।

১) ঘিয়ে থাকে ভিটামিন এ, ডি, কে-র মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই সব উপাদান চুলের জন্যেও বেশ উপকারী। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই ভিটামিনগুলি।

২) রোজ সকালে এক চামচ ঘি খেলে ত্বকের জেল্লা বজায় থাকে। ঘি-জল দিয়ে দিন শুরু করলে ত্বক টান টান হবে, উজ্জ্বল দেখাবে।

৩) বাতের ব্যথা থাকলে কিংবা হাঁটু, কোমরে ব্যথা হলে এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। উপকার মিলবে।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘ দিন ধরে ভোগালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ-পথ্য খাওয়াই উচিত। ঘি সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement