Air Pollution

শীতে দূষণের পাল্লা ভারী, খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় হাঁটা কেন ক্ষতিকর? কোন সময়ে হাঁটবেন?

খুব ভোরে উঠে হাঁটেন? সময় না পেলে সন্ধ্যায়? এই দুই সময়েই হাঁটাহাঁটি করা ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা। কেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৫
Share:

ভোরে বা সন্ধ্যায় হাঁটা ক্ষতিকর কেন বলছেন গবেষকেরা? ছবি: ফ্রিপিক।

শীত পড়তেই দূষণের পাল্লা ভারী। খবরে চোখ রাখলেই এখন ধোঁয়াশা ঢাকা রাজধানীর ছবি। কলকাতার অবস্থা ততটা খারাপ না হলেও বাতাসের গুণমান নির্ধারক সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স)বলছে, সতর্ক হওয়া জরুরি। সমীক্ষা বলছে, এ শহরও বায়ুদূষণের নিরিখে খুব একটা পিছিয়ে নেই। যানবাহনের ধোঁয়া, আবাসনগুলিতে দেদার এসির ব্যবহার, সব মিলিয়ে বাতাসে দূষণবাহী কণার পরিমাণ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যায় হঁটাহাঁটি করতে বারণই করছেন চিকিৎসকেরা। প্রাতর্ভ্রমণের অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁদের খুব ভোরে বা সন্ধ্যার পরে হাঁটতে নিষেধ করা হচ্ছে।

Advertisement

কেন ভোরে ও সন্ধ্যায় হাঁটা এখন ক্ষতিকর?

ভোরবেলায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটাহাঁটি করতেই তো বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য। শীতের সময়ে এমনিতেই দূষণবাহী কণার পরিমাণ বাড়ে, তার উপরে কলকাতার দূষণের প্রধান উৎস যানবাহনের ধোঁয়া ছাড়াও শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা রাস্তার ধুলো। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (ডব্লিউবিপিসিবি) সমীক্ষায় কিছু দিন আগেই বলা হয়েছিল, বাতাস বা যানবাহনের চলাচলে যে ধুলো বাতাসে মিশে যায়, তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। খুব ভোরে যখন বাতাস ঠান্ডা থাকে, তখন ধুলো ও দূষণবাহী কণা মাটির কাছাকাছি থাকে। তার উপরে মানুষজনের চলাচল, গাড়ি চলাচল শুরু হলে ধুলো বাতাসে মিশে সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এই ধুলো শ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকলে তা শ্বাসনালির প্রদাহ মারাত্মক বাড়িয়ে তোলে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যালার্জি, সিওপিডি দেখা দিতে পারে। ফুসফুসের অসুখও হতে পারে। আবার শ্বাসের সঙ্গে ক্রমাগত ধূলিকণা, দূষিত বাতাস শরীরে ঢুকলে তা হৃদ্‌রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement

সন্ধ্যার সময়েও এই ধুলো থেকে রেহাই নেই। এর সঙ্গে আবার বাতাসে মেশে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রিক অক্সাইড, যা ফুসফুসের জটিল অসুখের কারণ হতে পারে। খুব ভোরে যাঁরা হাঁটতে পারেন না, তাঁরা সন্ধ্যার সময়টাকে বেছে নেন। ওই সময়টাও কিন্তু হাঁটার জন্য উপযুক্ত নয়। সন্ধ্যার সময়ে বাতাসে কার্বন ও সালফারের ঘনত্ব এতটাই বেশি থাকে, যা বিষের সমান কাজ করে। শহরের বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড সহনমাত্রার মধ্যে ছিল, কিন্তু নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও ভাসমান ধূলিকণার মতো দূষকের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। আর এখন সব কিছুই বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। দূষিত গ্যাসের মাত্রা যত বাড়ছে, ততই ফুসফুসের জটিল রোগ, শ্বাসজনিত অসুখবিসুখের প্রকোপ বাড়ছে।

তা হলে কখন হাঁটা ভাল?

বেলা ১১টা থেকে ৪টের মধ্যে হাঁটা সবচেয়ে ভাল। ওই সময়ে ভোরের ঠান্ডা বাতাস উপরে উঠে যায়, বদলে উষ্ণ বাতাস এসে সে জায়গা নেয়। রোদও ওই সময়ে চড়া থাকে, যা দূষণবাহী কণাগুলির গতি রুদ্ধ করে। তা ছাড়া ওই সময়ে হাঁটলে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়াও সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement