কোন ডায়েট মেনে ওজন ঝরিয়েছিলেন সমান্থা? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া কিংবা শরীরচর্চা না করা নয়, বিদ্যা বালনের মতো প্রদাহজনিত অসুখের কারণেই ওজন বেড়েছিল সমান্থা রুথ প্রভুর। পেশির প্রদাহজনিত জটিল অসুখ মায়োসাইটিসে দীর্ঘ দিন ভুগেছেন তিনি। তার পরে আচমকাই ওজন বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট করেই ওজন ঝরেছে তাঁর। একই রকম ডায়েট মেনেছেন বিদ্যাও। কী এই ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট?
সমান্থার মতে, ছোটবেলা থেকেই তিনি সব কিছু খেতেন। তাঁর ওজন কখনও বাড়েনি। তবে প্রদাহের কারণেই পরবর্তী সময় তাঁর ওজন বাড়তে শুরু করে। মেদের জন্য নয়, সমান্থার শরীর ফুলে গিয়েছিল প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশনের জন্য। এই প্রদাহ ‘অ্যাকিউট’ বা ‘ক্রনিক’ হতে পারে। লাগাতার শরীরে জীবাণু সংক্রমণ, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, হজম প্রক্রিয়ায় গোলমাল, শরীরে টক্সিন জমে গেলে বা প্রচণ্ড উদ্বেগ, মানসিক চাপ থেকেও প্রদাহ হতে পারে। ‘ক্রনিক’ প্রদাহ হলে ইনসুলিনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটে বদলে যায় এবং কোষে জমা হতে থাকে। হজমের গোলমালও দেখা দেয়। তাই এই সময়ে এমন ডায়েট মেনে চলতে হবে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। এই ডায়েট কিন্তু ভীষণ কড়া ভাবে মানতে হয়। একই খাবার রোজ খেতে হয়, একদিনও অনিয়ম করা চলে না।
কী কী খাওয়া যায় এই ডায়েটে?
১) এই ডায়েটে চিয়া বীজ, তিল, তিসি বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদামের মতো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবে।
২) সবুজ শাকসব্জি ও ফল খেতে হবে বেশি করে। পেশির প্রদাহ কমাতে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের আধিক্য আছে, যেমন বেরি জাতীয় ফল, গাজর, কমলালেবু, মুসাম্বি।
৩) সাধারণ ভাত-রুটি নয়, রাগি, ওট্স, কিনোয়ার মতো দানাশস্যও রাখতে হবে ডায়েটে। সাদা ভাতের বদলে খেতে হয় ব্রাউন রাইস, শ্যামা চাল।
৪) লিন প্রোটিন আছে এমন খাবার খাওয়া ভাল। রেড মিট একেবারেই চলবে না। চিকেন, টার্কি, পনির, টোফু খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে খেতে হবে বিভিন্ন রকম বাদাম।
৫) চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে। যে কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। কাঁচা হলুদ, আদা দিয়ে বানানো ডিটক্স পানীয় নিয়মিত খেতে হবে।
সমান্থা প্রভু এই ডায়েট করেছিলেন তাঁর পুষ্টিবিদের কড়া নজরদারিতে। এই ডায়েট সবার ক্ষেত্রে একই ফল দেবে, এমনটা নয়। সবার আগে জানতে হবে ওজন বৃদ্ধির আসল কারণ। কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এই ডায়েট করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।