এই যে মন নিয়ে এত কথা বলা হল, এই মন আমাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রে চন্দ্র নামক একটি গ্রহ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। রাশিচক্রে চন্দ্র কতটা ভালোভাবে অবস্থান করে তার ওপর নির্ভর করে সু-মনের সমস্ত চাবিকাঠি। এই অর্থে বলা উচিত দাম্পত্য জীবনে নারী- পুরুষ উভয়েরই বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। আর একেই যোটক বিচার বলে। মোট ৩৬টি গুনের মধ্যে ১৮টি গুনের ঊর্ধ্বে হলে বিবাহ সমর্থনযোগ্য হয়। এই বিচারকে অষ্টকূট বিচারও বলে। এই অষ্টকূট নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অষ্টকূট বিচারের ফল। যথা – ০ বর্নকূট ০ বশ্যকূট ০ তারাকূট ০ যোনিকূট ০ মৈত্রীকূট ০ গনমৈত্রীকূট ০ রাশিকূট ০ ত্রিনাড়ীকূট।
এই অষ্টকূট বিচার বিগত কয়েক হাজার বছর পুরনো। জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে সে যুগে (আনুমানিক ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার বছরের পুরনো)পণ্ডিত ব্যক্তি বর্গ বিধান দিয়েছিলেন কিভাবে দাম্পত্যজীবন যাপন করা যায়। কিন্তু মানুষ এখন এতটাই সুতিব্র গতিতে ছুটছে যে এসব ভাবার একটুও সময় নেই যে সত্যি কিভাবে সুখী হওয়া সম্ভব এই জ্যোতিষ শাস্ত্রকে হাতে নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্র কিন্তু মনুষ্য জীবনকে সম্পৃক্ত করেই এগিয়ে চলে। এখানে কোনও দ্বিমত নেই। তাই ভাগ্যকে তুড়ি মেরে উরিয়ে না দিয়ে জন্মসময় থেকে ভাগ্য কি কথা বলে তা জেনে সেইমতো পথে চললে বিশেষ উপকার হবে বলে আমার ধারনা। অর্থাৎ সুখী দম্পতি হওয়া সম্ভব ও সুস্থ সুন্দর নতুন প্রজন্মকেও আহ্বান করা সম্ভব। স্বামী-স্ত্রী যদি দ্বিমত, দ্বিপথ, দ্বিচারিতায় ভরপুর থাকে তাহলে উৎপন্ন ফসল (সন্তান) হয় বড্ড তেতো। যা কিনা ভবিষ্যতে শুধু সংসার নয়, গোটা সমাজের শত্রু তথা অবাঞ্ছিত জীব হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর সহাবস্থান। আর এই ব্যবস্থা একমাত্র জ্যোতিষের মাধ্যমেই সম্ভব।
হ্যাঁ সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য প্রয়োজন একটা সুস্থ সুন্দর মন, এই মন থেকেই উৎপন্ন হয় সুস্থ সুন্দর মানসিকতা যা কিনা সাহায্য করে দাম্পত্যজীবনকে সুখে, আনন্দে, সোহাগে, পরিপুর্ন করে তুলতে পারে।