মঙ্গল গ্রহের কয়েকটি বিভিন্ন অবস্থানের কারণে জাতক-জাতিকার জীবনে যে সকল ভয়ানক সমস্যার সৃষ্টি হয় তাকে মাঙ্গলিক বা ভৌম দোষ বলা হয়। মাঙ্গলিক দোষের ফলে যে সমস্যা তৈরি হয় তার সংক্ষিপ্ত রূপগুলি দেখে নেওয়া যাক -
১। স্বামী বা স্ত্রীর অকাল মৃত্যু।
২। স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ।
৩। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক চিন্তাভাবনার অসামঞ্জস্যতা।
৪। রাগ, প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতা, দুশ্চিন্তা, সহিষ্ণুতার অভাবের ফলে অনমনীয় মনোভাব।
৫। ছোট ছোট বিষয়ে অকারণে তর্ক করা এবং উত্তেজিত হওয়া।
আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের ভিন্ন অবস্থানের কারণে মাঙ্গলিক দোষের প্রকারভেদ গুলি দেখে নিন -
লগ্নে মঙ্গল-
জাতক বা জাতিকার মধ্যে ক্রোধের পরিমাণ বেশি থাকে। জেদি, ইচ্ছাশক্তিতে পরিপূর্ণ, কর্তৃত্ব-পরায়ণ হয়। সামান্য কারণেই মাথাগরম করার প্রবণতা দেখা যায়।
দ্বিতীয়-ভাবে মঙ্গল -
রুক্ষভাষী, স্পষ্টবক্তা হওয়ার জন্য আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ, বদনাম হয়। স্পষ্টবক্তা হওয়ার কারণে কথার দ্বারা অন্যকে আঘাত বা অপমান করার প্রবণতা থাকে। বিবাহিত জীবনের মাধুর্যতা নষ্ট হয়ে যায়।
চতুর্থে মঙ্গল -
শ্বশুরালয়ে কোনও মহিলা বিবাহিত জীবনের আনন্দকে চরম নিরানন্দে পরিণত করে।
সপ্তমে মঙ্গল -
এই ঘরটিকে জীবনসঙ্গীর ঘর হিসাবে দেখা হয়। এই স্থানে মঙ্গলের অবস্থান জাতক বা জাতিকাতে সহজেই প্রেম এনে দেয় এবং তীব্র কাম ভাবাপন্ন করে তোলে। এই ভাবে মঙ্গলের সঙ্গে অশুভ শনি বা কেতুর সংযোগের কারণে বিবাহে বিলম্ব বা অনুঢ়া যোগ তৈরি করে।
অষ্টমে মঙ্গল -
এই ঘরটি থেকে আমরা মৃত্যু ও দুর্ঘটনার বিচার করে থাকি। এই ঘরে মঙ্গলের অবস্থান অত্যন্ত অশুভ। হঠাৎ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা আত্মহত্যার যোগ নির্দেশ করে।
দ্বাদশে মঙ্গল -
দ্বাদশভাব শয্যা সুখের ঘর। এখানে নীচস্থ বা অশুভ মঙ্গল অবস্থান করলে দাম্পত্য সুখে চরম অভাব দেখা যায়। এমনকি নিঃসঙ্গতা তৈরি করে। এই মঙ্গল কোনও ভাবে অশুভ শনি বা রাহু দ্বারা দৃষ্ট হলে সঙ্গীর মৃত্যু ঘটে থাকে।