জ্যোতিষশাস্ত্রে রেবতী নক্ষত্র হল সাতাশতম নক্ষত্র। জ্যোতিষমতে একেই শেষ নক্ষত্র হিসাবে ধরা হয়। রেবতী কথার অর্থ হল প্রচুর পরিমান বিত্তশালী। এই নক্ষত্রটি বত্রিশটি তারায় তৈরি। যাকে দেখতে একটি বাদ্যযন্ত্রের মতো। এই নক্ষত্রের অধিদেবতা পুশ্যা(যিনি সূর্যকে দেখাশোনা করেন)। এই নক্ষত্রটির জাতক-জাতিকারা মীন রাশি, দেবগন এবং বিংশোত্তরী ও বুধের দশায় জন্ম।
১। মীন রাশি বৃহস্পতির ক্ষেত্র বলে এই নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের মধ্যে জ্ঞানের প্রভাব বেশি থাকে। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে জ্ঞানের পরিধি বেশি হওয়ায় সব সময়ই এরা উচ্চমার্গে থাকে।
২। শুক্রের স্থান উচ্চ থাকায় এদের চেহারা খুব আকর্ষণীয়। এই জাতক- জাতিকারা সাধারণত খুব মধুরভাষী হয়। এছাড়া এরা খুব শৌখিন হয়, সাজগোজ, ভ্রমনপিপাসু, আনন্দপ্রিয় স্বভাবের হয়। আধ্যাত্মিক চেতনা প্রবল থাকে। এদের গায়ের রঙ সাধারণত ফর্সা হয়।
৩। এদের বুধের স্থান নিচস্থ হওয়ার জন্য এদের মন হয় দ্বি স্বভাব যুক্ত। কিছুটা শিশুদের মতো আচরণ করে। কোনও রকম কপটতা এদের মধ্যে থাকে না। এরা সহজ সরল জীবন যাপন করতে ভালবাসে। এই জাতকরা কারওর আধিপত্যকে স্বীকার করে না।
৪। বুধ নিচস্থ হওয়ায় এরা কোনও কথা বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারে না। এরা একটু সন্দেহবাতিক হওয়ার,প্রিয়জনদের খুব একটা বিশ্বাস করে না। তবে নিজের পরিবারকে এরা খুব বিশ্বাস করে। এদের মেজাজ মাঝামাঝি প্রকৃতির হয়।
৫। এরা সাধারণত চিকিৎসক, লেখক, সরকারি কর্মচারী হতে পারে। এবং যদি ব্যবসা করে তাহলে অনেক বয়সেও কম রোজগার করতে পারে।