শ্রবণা কথাটির অর্থই হল শ্রবণ করা, পৌরাণিক ঋষিরা শ্রুতির মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন করতেন। কান অর্থাৎ শোনা ও বোঝা সাতাশটি নক্ষত্রের মধ্যে বাইশতম নক্ষত্র এই শ্রবণা নক্ষত্র। শ্রবণা নক্ষত্রের প্রতীক হল কান। ।
তিনটি উজ্জ্বল তারা নিয়ে এই নক্ষত্র গঠিত ১)অলটেয়ার ২)অলসাইন ৩)টেরাজড। রাতের আকাশে খুব সহজেই শ্রবণা নক্ষত্রকে চেনা যায়। এই নক্ষত্রের দেবতা ভগবান বিষ্ণু। উপরোক্ত তিনটি তারা হল ভগবান বিষ্ণুর বা বামন অবতারের তিনটি পদক্ষেপ ও অধিপতি চন্দ্র। শ্রবণার অপর নাম পিপুল গাছ। পিপুল গাছের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। ভগবান বুদ্ধ এই গাছে তলায় বসে সিদ্ধি লাভ করেন।
দেহের গঠন
শ্রবণা নক্ষত্রে যাদের জন্ম হয় তারা দৈহিক গঠনে লম্বা হয়, একটু রোগা হয়, মুখের আকৃতি বেশ বড়, নাক টিকালো হয়, মাথার চুল বেশ লম্বা হয়। এদের দেহের গঠন খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়, মুখমণ্ডলে বিশেষ আলাদা কিছু লক্ষ্য করা যায়।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
এই নক্ষত্রের মানুষেরা বেশ শান্তিপ্রিয়, মিষ্টভাষী হয়, সব কিছুতে সমতা বজায় রাখতে পারে। এরা খুব পরিষ্কার থাকতে ভালবাসে। এদের একটি মহৎ গুন হল যে কাজ এরা শুরু করে সেটা শেষ করে ছাড়ে। বাবা মায়ের প্রতি এদের ভালবাসা থাকে। ধার্মিক প্রকৃতির এদের একটি বিশেষ গুন। এরা খুব প্রতিভা সম্পন্ন হয়ে থাকে। অতিথি সেবায় পটু হয় এবং মানুষের বিপদে পাশে দাড়াতে চেষ্টা করে। কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি পছন্দ করে না এবং এরা কখনই অসৎ হয় না।
পেশা
শিক্ষক, অধ্যাপক, গায়ক, অভিনেতা, অনুবাদক, টেলিফোন অপারেটর, টেলিভিশন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, চিকিৎসক, ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যবসা ইত্যাদি নানা পেশা নির্দেশ করে। তাছাড়া এরা নৃত্য ও সঙ্গীতে খুব সুনাম অর্জন করে থাকে।
এদের গন — দেবগণ, গুণ – রাজসিক গুণসম্পন্ন, শুভ দিক – দক্ষিণ ও উত্তরপশ্চিম।