বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার শুরু হয় আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে।
বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার শুরু হয় আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে। কোথাও প্রতিপদ তিথি থেকে, কোথাও ষষ্ঠী তিথি থেকে দুর্গাপূজা শুরু হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী, এই তিনদিন সাড়ম্বরে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। অষ্টমীর দিন করা হয় কুমারী পূজা। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিস্থলে করা হয় সন্ধি পূজা। সব শেষে হয় দশমী পূজা, যা মূলত ‘বিজয়া দশমী’ নামে প্রচলিত।
নবমী
নবমীর সকাল মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শারদীয় দুর্গা উৎসবের নবমীর এই দিনটিতে দেবী দুর্গা অসুরকে বধ করেছিলেন। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে শাস্ত্র মতে একে অকাল বোধন বলা হয়। যে সমস্ত মায়েদের সন্তান হচ্ছে না তারা সন্তান কামনায় মহানবমীর ব্রত উপবাস করলে সন্তান লাভ করবেন। পরিপূর্ণ ফলপ্রাপ্তির জন্য কুমারী পূজা করান। মাতৃত্বের পরিপূর্ণতা লাভ হয়ে থাকে। মহানবমীর দিনে যজ্ঞে আহুতি প্রদান করুন নিজের মনোবাসনা জানিয়ে। ধন, যশ, সকল কিছুই প্রাপ্তি ঘটে।
‘আয়ুদ্দেহি যশো দেহি, ভাগ্যং ভগবতী দেহি মে/পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান কামাংশ্চ দেহি মে’।
দশমী
অপরাজিতা ফুল দিয়ে পূজা করলে বিদ্যা লাভের ক্ষেত্রে শুভ ফল প্রাপ্তি ঘটে। অপরাজিতার লতা বা ডাল, অপরাজিতা ফুল দিয়ে পূজা করিয়ে সন্তানদের হাতে ধারণ করান। এবং অপরাজিতা স্তোত্র পাঠ করুন নিত্য। বিদ্যা ক্ষেত্রে শুভ ফল প্রাপ্তি হবে। প্রতিদিন পূজার শেষে দুর্গা কবচ পাঠ করুন -
‘ওঁ প্রাণান্ রক্ষ যশো রক্ষ পুত্রদারধনং সদা,
সর্ব্বরক্ষাকরী যস্মাৎ ত্বং হি
দেবী জগৎপ্রিয়ে’।