Astrology

হস্ত মুদ্রা আপনার জীবনকে কীভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় জেনে নিন

কথিত আছে হস্তরেখায় মানুষের সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবি থাকে, জীবনের শুরু, সফরের বিরতি, হৃদয় স্পন্দন, মনের গতিপ্রকৃতি সমস্ত কিছুই কিন্তু সেই করতলের আঁকিবুকির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এর সঙ্গেই থাকা আঙ্গুল মুদ্রা কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যকে সূচিত করে তা জানা সম্ভব।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:১০
Share:

আঙ্গুলের বিশেষ বিশেষ স্থিতিকেই মুদ্রা বলা হয়।

কথিত আছে হস্তরেখায় মানুষের সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবি থাকে, জীবনের শুরু, সফরের বিরতি, হৃদয় স্পন্দন, মনের গতিপ্রকৃতি সমস্ত কিছুই কিন্তু সেই করতলের আঁকিবুকির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এর সঙ্গেই থাকা আঙ্গুল মুদ্রা কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যকে সূচিত করে তা জানা সম্ভব।

Advertisement

মানুষের শরীররূপী যন্ত্র ঈশ্বরের এক অদ্ভুত সৃষ্টি। প্রাচীন মুনি ঋষিরা শরীর ও মনের শক্তিকে অনুধাবন করেছিলেন এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে ও আয়ু বাড়াতে সাংখ্য, যোগ, আয়ুর্বেদ, হস্তমুদ্রা, অধ্যাত্ম, নৃত্য, সঙ্গীত ইত্যাদি বিষয়ের অনুসন্ধান করেছিলেন । পরবর্তীকালে নিজেরাই তার প্রথম ব্যবহার শুরু করে দীর্ঘায়ু হয়েছিলেন। আলোচ্য বিষয়ও তাই তাঁদের আবিস্কৃত সেই হস্তমুদ্রারূপী সঞ্জীবনী শক্তি সম্পর্কেই।

আমরা একথা জানি যে, মানুষের শরীর পঞ্চতত্ত্বের সমন্বয়ে গঠিত। এই পঞ্চতত্ত্ব হল জল, পৃথ্বী, আকাশ, বায়ু, অগ্নি। আমাদের এক একটি হাতও পাঁচটি আঙ্গুলের সমন্বয়ে গঠিত।, এই পাঁচটি আঙ্গুল পঞ্চতত্ত্বেরই দ্যোতক। আমরা হাতের আঙ্গুল গুলিকে পরস্পর স্পর্শ করে বিভিন্ন রকম মুদ্রা সৃষ্টি করি, আঙ্গুলের বিশেষ বিশেষ স্থিতিকেই মুদ্রা বলা হয়। এই মুদ্রাগুলিকে পদ্মাসন, সিদ্ধাসন, বজ্রাসন বা সুখাসনে বসে প্রয়োগ করা উচিত। আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত মুদ্রা প্রয়োগ করা সম্ভব। একেবারে না করে দু তিন বারেও হস্তমুদ্রা করা যেতে পারে। এই মুদ্রাগুলি করার সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনি আপনার আহারাদির উপরেও নজর দিতে পারেন তাহলে শীঘ্রই আপনি তার সুফল ভোগ করতে পারেন। অনেক রকম মুদ্রা প্রচলিত আছে, এখানে এমন কিছু মুদ্রারই উল্লেখ করা হল, যেগুলি মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

Advertisement

প্রাণমুদ্রা

এই মুদ্রাটি প্রাণ বায়ুর সাথে সংযুক্ত। কণিষ্ঠাঙ্গুলী, অনামিকা এবং বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের অগ্রভাগকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করুন। অন্যান্য আঙ্গুল সোজা রাখুন।

এই মুদ্রার অভ্যাস করলে চোখের জ্যোতি বাড়ে এবং মানসিক দুর্বলতা কেটে যায়। এই মুদ্রা অভ্যাসের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে।

বায়ু মুদ্রা

তর্জনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলের মূলে স্পর্শ করান। এরপর বৃদ্ধাঙ্গুলকে তর্জনীর ওপর রেখে মৃদু চাপ দিন, কিন্তু বাকি আঙ্গুলগুলি সোজা রাখুন।

এই মুদ্রা অভ্যাস করলে বায়ুজনিত রোগ ঠিক হয়ে যায়। গেঁটে বাত, সন্ধিবাত, সাইটিকা, বায়ুশূল, হাঁটু, ঘাড়, কোমর ইত্যাদির ব্যথায় এ এক অপূর্ব ওষুধের কাজ করে। পুরনো রোগের ক্ষেত্রেও এই মুদ্রা লাভদায়ক। তবে এ ক্ষেত্রে বেশি সময় অভ্যাস করতে হবে। যদি কোনও লাভ না পান তবে এই মুদ্রার সাথে প্রাণ মুদ্রারও অভ্যাস করা উচিত। রোগ ঠিক হয়ে গেলে এই মুদ্রা অভ্যাস করা ঠিক নয়। এর অন্যথায় হানি হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন