বিভিন্ন প্রকার গন্ধের যথাযত ব্যবহারে পরিবেশগত শক্তি ও শারীরিক শক্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্বাস্থ্য অর্জন করা সম্ভব। এজন্য বিভিন্ন বনস্পতি, শিকড়-বাকড়, ফুলের তেল, আরক ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতি আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়েছে। জনজীবন ও গাছপালাকে তাই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছে। এই কারণেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজেদের উপযোগী শিকড়-বাকড়, সুগন্ধি এবং তেল ইত্যাদি প্রস্তুত করে আসছে। বর্তমানে তো জড়িবুটি ওষুধ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। পরিবেশ ও মানসিক স্থৈর্যের জন্যে নানাপ্রকার সুগন্ধি ও তেল ইত্যাদি ব্যবহার হচ্ছে।
আমাদের ইন্দ্রিয় গুলি ঘ্রাণ, স্পর্শ ইত্যাদির দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই দিয়ে শরীর ও মাথার স্থিরতা ও ভারসাম্য স্থাপিত হয়। বিভিন্ন প্রকার গন্ধ কী ভাবে ঘরের পরিবেশ ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব বিস্তার এবং বাস্তু সংস্কার করে দেখে নেওয়া যাক -
১। সুগন্ধিত আলো-বাতাস ঘরে ঢুকলেই মন ভাল হয়ে যায়।
২। বিভিন্ন কার্যালয়ে উপযুক্ত তেলের ব্যবহার কাজে উত্সাহ ও দক্ষতা বাড়ায়। বিভিন্ন কার্যালয় ও পাঠকক্ষে তুলসী, রোজমেরি, লেবু খুব উপযোগী।
৩। লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। তুলসী মানসিক ক্লান্তি দূর করে।
৪। রোজমেরি একাগ্রতা বাড়ায়, মাথাব্যথা দূর করে।
৫। বসার ঘরে রুম-স্প্রে ও জলে তেল বা ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে ব্যবহার করলে সুস্বাস্থ্য ও মানসিক স্থৈর্য পাওয়া যায়। গোলাপ, জেরোনিয়াম, ল্যাভেন্ডার ঘরে সদর্থক পরিমণ্ডল তৈরি করে।
৬। ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাস বৃদ্ধির জন্যে চন্দন বা পচোলির ব্যবহার করা উচিত। সন্ধ্যার সময় জেরোনিয়াম, ল্যাভেন্ডার, চন্দন প্রয়োগ ঘরে ব্যবহার করুন, সুফল পাবেন।