প্রথমেই একটু রুদ্রাক্ষ সম্বদ্ধে বলি, পৃথিবীতে অসংখ্য প্রকার বৃক্ষ পাওয়া যায় কিন্তু রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ পাওয়া ভীষণ সমস্যা। রুদ্রাক্ষ অনেক প্রকার হয় ,সেগুলি লঙ্কার বীজের আকার থেকে শুরু করে আমলকীর আকারের পর্যন্ত হয়ে থাকে।সব থেকে ছোট আর সব থেকে বড় রুদ্রাক্ষ পাওয়া বড় কঠিন।এবার দেখে নেওয়া যাক গ্রহদোষে কিরকম রুদ্রাক্ষ প্রয়োজন।
১) রবির স্থান ভাল হলে জাতক-জাতিকা শিল্পী, জ্ঞানী, সাধু, বুদ্ধিমান ও বিচক্ষন হয়ে থাকে। প্রায়ই এদের পেটের রোগ বা গণ্ডগোল লেগে থাকে, তাই যে কোনও রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
২) চন্দ্রের ক্ষেত্রখারাপ হলে জাতক-জাতিকা একটু ভীতু হয়।এদের মধ্যে কু-সংস্কারের প্রভাব বেশি থাকে।এক্ষেত্রে চন্দ্রগ্রহদোষ কাটাতে পঞ্চদশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
৩) মঙ্গলের স্থান নীচু হলে জাতক-জাতিকা বেসামাল ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়, সেক্ষেত্রে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাওয়া যায়। অনেকে দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করেও ভাল ফল পেয়েছেন।
৪) বুধের স্থান নীচু হলে জাতক-জাতিকার একটু অসৎ পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা প্রতারক হতে পারে, সেক্ষেত্রে সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করতে হয়।
৫) বৃহস্পতির স্থান নিচু হলে অত্যাচারী ও অবাধ্য হয়, সেক্ষেত্রে পঞ্চমুখী বা অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
৬) শুক্রের স্থান খারাপ বা নীচু হলে জাতক-জাতিকা বিদ্বেষী বা একটু অসৎ প্রকৃতির হতে পারে, সেক্ষেত্রে চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ভাল উপকার হয়।
৭) শনির ক্ষেত্র নীচু হলে জাতক-জাতিকা অবাধ্য, ঘৃণার পাত্র, বিদ্বেষী হয়, সেক্ষেত্রে নয়মুখী অথবা দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করলে ভাল হয়।