ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ

যদি কোনও শিবভক্ত ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ মস্তকে ধারন করে তাহলে তার সকল প্রকার দুঃখ ও সমস্ত পাপ ধ্বংস হয়ে যায়। কর্ণ, কণ্ঠ ও উদরে শিব, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার বিভুতি আছে।মুণি ঋষিগণ বলেছেন যে রুদ্রাক্ষ ধারন একটি মহাব্রত। 

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০৪
Share:

ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
কর্মক্ষেত্রে সিদ্ধিলাভ যে কোনও চেষ্টায় হয়ে থাকে। অনুকুল সাধনার দ্বারা প্রাপ্তি, বিদ্যার্জন ও জ্ঞানলাভ ইত্যাদির বিষয়ে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ভীষণ তাড়াতাড়ি ফল প্রদান করে থাকে। বিশেষ ভাবে জানা গেছে যে এই রুদ্রাক্ষ ধারনকারী ব্যক্তি রোগগ্রস্থ হলে তাড়াতাড়ি তার রোগ আরোগ্য হয়ে থাকে। এবার ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ জেনে নেওয়া যাক —
১) ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ স্বয়ং অগ্নিদেব তুল্য।
২) যদি কোনও শিবভক্ত ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ মস্তকে ধারন করে তাহলে তার সকল প্রকার দুঃখ ও সমস্ত পাপ ধ্বংস হয়ে যায়। কর্ণ, কণ্ঠ ও উদরে শিব, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার বিভুতি আছে।
৩) মুণি ঋষিগণ বলেছেন যে রুদ্রাক্ষ ধারন একটি মহাব্রত।
৪) কোনও বড় জারে তিন-চারটি রুদ্রাক্ষ ফেলে দিয়ে পরে সেই জলে স্নান করলে গঙ্গা স্নানের ফল লাভ হয়।
৫) যেমন সকলের শ্রেষ্ঠ বিষ্ণু, গ্রহদের মধ্যে সূর্য, নদীর মধ্যে গঙ্গা, মুণিদের মধ্যে কশ্যপ, অশ্বের মধ্যে উচ্চৈশ্রবা, দেবগণের মধ্যে মহাদেব, দেবীদের মধ্যে দুর্গা, তেমন সকল রুদ্রাক্ষের মধ্যে ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ সর্বশ্রেষ্ঠ।
৬) যে রুদ্রাক্ষের নীচে থেকে ছিদ থাকে যা মধ্যম প্রকারের এবং যা সৌম্যসিদ্ধ দৃঢ় গোলাকার সেই রুদ্রাক্ষ ভাল। কষ্ঠিপাথরে সোনা ঘষলে যেমন দাগ পরে সেরূপ রুদ্রাক্ষ পাথরের ওপর ঘষলে যদি দাগ পরে তাহলে সেই রুদ্রাক্ষ ভাল। পাথরে ঘসে আসল রুদ্রাক্ষ কি না তা চিনতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন