পৌরাণিক কথা অনুযায়ী অসুররাজ হিরন্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ কে মারতে উদ্যত হলেন। প্রহ্লাদকে পাহাড় থেকে ফেলে দিলেন, অস্ত্র দ্বারা বধ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফল হল। হোলিকা তখন বললেন যে তিনি প্রহ্লাদকে জ্বালিয়ে হত্যা করবেন। প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করবেন। ফলে প্রহ্লাদ জ্বলে যাবেন এবং হোলিকা আগুনে না জ্বলার বরদান পাওয়ার জন্য বেঁচে যাবেন। কিন্তু হরির নাম করার জন্য প্রহ্লাদ বেঁচে গেলেন ও হোলিকা জ্বলে পুড়ে মারা গেলেন। সেই হোলিকাকে জ্বালানোর স্মৃতি হিসাবে প্রত্যেক বছরই হোলিকা জ্বালানো হয়। অনেকে বিভিন্ন ফসল সেই আগুনে আহুতি দেন। পরে সেই ফসল প্রসাদ হিসাবে গৃহে নিয়ে যান এবং এর পরেই ক্ষেতের ফসল কাটেন।এই ফাল্গুন মাসের শুভ পূর্ণিমা তিথি ছিল হোলিকা জ্বলনের পরের দিন। হোলিকার জ্বলে যাওয়া ও প্রহ্লাদ বেঁচে যাওয়ার আনন্দকে স্মরণীয় করতে এই হোলি।