জন্মনক্ষত্র ও তার ফল

বিভিন্ন নক্ষত্রে জন্মকালীন চন্দ্র বা লগ্ন অবস্থান করলে কেমন ফল দেয় তার সংক্ষিপ্ত ফল পরপর নীচে দেওয়া হল-

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০০:০১
Share:

বিভিন্ন নক্ষত্রে জন্মকালীন চন্দ্র বা লগ্ন অবস্থান করলে কেমন ফল দেয় তার সংক্ষিপ্ত ফল পরপর নীচে দেওয়া হলঃ

Advertisement

১) অশ্বিনীঃ এরা অন্তরে নেতৃত্ব চায় এবং যৌন কামনাপ্রবণ।

২) ভরনীঃ গুপ্তবিদ্যা চর্চায় আগ্রহী অন্যদিকে প্রবল যৌনতা প্রশ্রয়কারী।

Advertisement

৩) কৃত্তিকাঃ আধ্যাত্মিক জীবনে উৎসর্গকৃত কিন্তু বাইরের দিকে ঝগড়ুটে ও স্বার্থপর হয়।

৪) রোহিনীঃ দিব্য জীবনে আগ্রহী। সামাজিক ও সম্পদশালী হতে চায়।

৫) মৃগশিরাঃ বুদ্ধিমান ও অহং সর্বস্ব।

৬) আদ্রাঃ রহস্য বিদ্যার চর্চায় আগ্রহী কিন্তু মন থেকে দ্বন্দ্ব যেতে চায় না।

৭) পুনর্বসুঃ শৃঙ্খলা প্রবণ অথচ কামপ্রবণ প্রকৃতি।

৮) পুষ্যাঃ মনে প্রশান্তি আছে কিন্তু খুব ভাবপ্রবণ ও অস্থির প্রকৃতির হয়।

৯) অশ্লেষাঃ রহস্যময় বা গুপ্তবিদ্যা চর্চায় বিদ্যায় বিশেষ আগ্রহী, কিন্তু বাইরের দিক থেকে অনৈতিক ও কপট হয়।

১০) মঘাঃ রাজকীয় ঠাটবাট ও আত্মমর্যাদায় রক্ষায় সচেষ্ট কিন্তু অন্য দিকে বশ্যতাস্বীকার করে থাকে।

১১) পূর্বফাল্গুনীঃ সাফল্য ও কর্তৃত্বপ্রবণ। অপরদিকে লম্পট, জুয়া ও কালাযাদুতে আসক্ত।

১২) উত্তর ফাল্গুনীঃ খুব উচ্চাসা ও অন্যদিকে কালাযাদুতে বিশ্বাসী হয়।

১৩) হস্থাঃ এরা মূলত ব্যবসায়ী প্রকৃতির। অন্যকে শোষণ করে বা বশ করে কিছু আদায় করে।

১৪) চিত্রাঃ ভিতরের আকাঙ্খা কিছু তৈরি করা, বাইরে এরা বরাহ যেমন কাদাতে কিছু খোজে তেমন।

১৫) স্বাতীঃ এদের নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আবেগপ্রবণ ও সর্বদা সুখ অন্বেষণকারী।

১৬) বিশাখাঃ এরা নীতিবোধ ও আত্ম উন্নতিকারী। দৃঢ় ঈশ্বর বিশ্বাসী।

১৭) অনুরাধাঃ এরা গুপ্তবিদ্যাকে নিজের স্বার্থ সিদ্ধিকে কাজে লাগায়।

১৮) জ্যেষ্ঠাঃ এরা ভিতরে আধ্যাত্মিক ও সন্ন্যাস জীবনে বিশ্বাসী কিন্তু খুব উদ্ধত প্রকৃতির।

১৯) মূলাঃ এরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে থাকে। বাইরের দিকে এরা নিষ্ঠুর প্রকৃতির।

২০) পূর্বাষাঢ়াঃ এরা ঈশ্বরের করুণা পেয়ে থাকে। বাইরের দিকে গর্বিত।

২১) উত্তরষাঢ়াঃ ভিতর বেশ নম্র কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক।

২২) শ্রবণাঃ ধ্যানী ও মৌনী ও কর্তব্য পালনকারী।

২৩) ধনিষ্ঠাঃ গুপ্তবিদ্যায় সিদ্ধ ও জাগতিক সুখে বঞ্চিত।

২৪) শতভিষাঃ মিশ্র বিবেকী ও এরা এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল ব্যথা বহন করে।

২৫) পুর্ব ভাদ্রাপদঃ এরা সে ভাবে ভয় পায় না। কটুভাষী ও নিষ্ঠুর।

২৬) উত্তর ভাদ্রাপদঃ এরা হৃদয়বান, কাউকে আঘাত দিতে চায় না। জাগতিক জীবনে আসক্তি কম।

২৭) রেবতীঃ এরা সমতায় বিশ্বাসী, এরা যখন কিছু করে তখন তার মধ্যে পরিপূর্নভাবে নিজেকে বিলীন করে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন