ভারতবর্ষ চিরকালই সঙ্গীতের দেশ। সঙ্গীতের ঐতিহ্য এখানে যেমন প্রাচীন তেমনই তার ঐশ্বর্য এবং বৈচিত্র্য। ধ্রুপদী রাগ সঙ্গীত থেকে শুরু করে কীর্তন-বাউল-লোকগীতি পর্যন্ত এর প্রসার।এর মাঝে যে বিশেষ ধরনের সঙ্গীত ভারতরর্ষে সম্ভবত সব থেকে জনপ্রিয় তা হল ভারতীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গীত বা আধুনিক গান। জ্যোতিষিক বিচারে জন্মকুণ্ডলীতে কী রূপ গ্রহের অবস্থানে কোনও জাতক/জাতিকা এই প্রতিভা প্রাপ্ত হবেন।
১। কুণ্ডলীর লগ্নে বৃহস্পতি বিরাজ করে যদি দ্বিতীয়পতির উপর দৃষ্টি প্রদান করে, তা হলে জাতক নিঃসন্দেহে গায়ক রূপে অর্থ ও খ্যাতি অর্জন করে।
২। জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র নবম ভাবে যদি বুধ ও চন্দ্রের ও চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে তা হলে ব্যক্তি বিদগ্ধ গায়ক হয়।
৩। কেন্দ্রস্থানে শুক্রের বিরাজ এবং কুণ্ডলীর যে কোনও ভাবে যদি রবি-মঙ্গলের যুতি থাকে তা হলে জাতক পার্শ্ব গায়ক রূপে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
৪। শুক্র যদি মঙ্গলের রাশিতে অবস্থান করে কেন্দ্রে বিরাজ করে এবং মঙ্গলও যদি উচ্চ অথবা স্বরাশিতে থাকে, তা হলে জাতক প্রযত্ন এবং সাধনা করে গায়ক হতে পারে।
৫। কুণ্ডলীর লগ্নে বুধ, দ্বিতীয় ভাবে রবি–শুক্র এবং লগ্নের উপর যদি ভাগ্যপতির দৃষ্টি থাকে, তা হলে ব্যক্তি সঙ্গীত জগৎ থেকে শ্রেষ্ঠ সম্মান এবং ধনলাভ করে থাকে।