যে সকল ব্যক্তির নাকের মাঝখানে ঢেউ খেলানো অর্থাৎ ভাঁজের মতো থাকে এবং সেই সঙ্গে শরীর, মুখ ও মাথা অপেক্ষা নাক বেশি ঘামে, তাদের মধ্যে বাক চতুরতা যেমন থাকে, তেমনই থাকে উপস্থিত বুদ্ধির প্রখরতা। এরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কোনও ভুল করে না। এরা খুব অল্প সময়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
যে সকল ব্যক্তির নাকের সামনের দিকটা একটু উপরের দিকে ওঠানো, তারা আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী ও জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পাশবিক অত্যাচার করতে কখনও কুন্ঠিত হয় না। অর্থাৎ এদের কাছে আপন বলে কেউ নেই। এদের স্বার্থে আঘাত হানলে আপন ব্যক্তিও পর হয়ে যাবে।
যে সকল ব্যক্তির নাক খুবই ছোট ও তিল চিহ্ন যুক্ত, তারা সারা জীবন পরিশ্রম করেও জীবনে প্রতিষ্ঠা পায় না। অবশ্য এরা সর্বদাই কাজ পাগল হয়ে থাকে। তবে এদের চরিত্রের ব্যাপারে খুব একটা ভাল বলা চলে না। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রু দ্বারা এরা আক্রান্ত হয়ে এদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কর্ম অনুসারে উপযুক্ত পারিশ্রমিক থেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
আরও পড়ুন: নাকের গঠন দেখে মানুষ চিনুন (দ্বিতীয় পর্ব)
যাদের নাক অত্যধিক বড়, অর্থাৎ বেমানান এবং নাকের সামনের দিক একটু ঝুলে থাকে, তাদের চরিত্র কলুষিত হয়। অবশ্য এরা শূন্য থেকে উঠে এসে মানুষের চোখের মনি হয়ে ওঠে। এরা ভোগী। নারীর প্রতি এদের লালসা প্রবল। এরা কখন যে কী করে বসবে তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না।
যে সকল ব্যক্তির নাক খুব মসৃণ, মুখমণ্ডলের রঙের সঙ্গে নাকের রঙের কোনও পার্থক্য নেই এবং নাকের গঠন মাঝারি আকৃতি বিশিষ্ট, তারাই জগতের বুকে মহা সৌভাগ্যবান বলে পরিচিত হয়। জগতের যত জ্ঞানীগুণী, মানী ধার্মীক ও জগৎ বিখ্যাত মানব আছেন তাদের নাক ও মুখমণ্ডলের রং এক এবং মসৃণ ও সুগঠিত। এদের জীবনে জন্মদিন দু-একবার পালন না হলেও মৃত্যুদিন অবশ্যই পালন হয়ে থাকে। এরা নিজস্ব প্রতিভার গুণে জগতের বুকে পরিসীম ছাপ রেখে যায়।