ইদানীং কালে সারা ভারতে যে ভাবে শিশু নিগ্রহ বাড়ছে, সমস্ত অভিভাবকদের মধ্যে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
শিশুরা সাধারণত চার ভাবে নিগৃহীত হয়ে থাকে
(১) দৈহিক ভাবে
(২) যৌনগত ভাবে
(৩) মানসিক ভাবে
(৪) অবহেলিত হয়ে
শিশু বয়সের সব ধরনের নিগ্রহ এবং অবহেলা শিশুমনে একটা ক্ষত চিহ্ন রেখে যায়, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভীষণ পীড়া দেয়। বয়সকালে এই সব নিগ্রহের ঘটনা তাকে ভাবায়। তারা এই সব ঘটনা সহজে ভুলতে পারে না।
কেন শিশুরা নানা ভাবে নিগৃহীত হয়ে থাকে, তার জ্যোতিষগত কারণ কী, সেই প্রসঙ্গে যে যে কারণ নীচে দেখানো হবে, অভিভাবকরা যদি আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করেন, তা হলে অনেক শিশু এই সব অত্যাচারের হাত থেকে রেহায় পাবে।
(১) যে সকল শিশুর জন্মছকে মঙ্গল ককর্ট রাশিতে (৩ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি) অবস্থান করে, আর এই ককর্ট রাশি যদি হয় লগ্ন, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ, তা হলে সেই জাতক/জাতিকার শিশুকাল হবে খুব কষ্টকর ও বেদনাদায়ক।
(২) যে সকল শিশুর জন্মছকে মঙ্গল তুলারাশিতে (৬ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি) অবস্থান করে, আর এই তুলারাশি যদি হয় লগ্ন, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘর, তা হলে সেই জাতক/জাতিকার শিশুকাল হবে ভয়ঙ্কর ভীতি বহুল ও অত্যাচারিত।
(৩) যে সকল শিশুর জন্মছকে মঙ্গল বৃশ্চিক রাশিতে (৩ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রিতে) অবস্থান করে, আর এই বৃশ্চিক রাশি যদি হয় লগ্ন, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘর, তা হলে সেই সকল জাতক/জাতিকার শিশুকাল হবে বেদনায় ভরা, অন্যের দ্বারা অত্যাচারিত।
(৪) যদি কোনও শিশুর জন্মছকে মঙ্গল ও রাহু যৌথ ভাবে লগ্ন, দ্বিতীয়. চতুর্থ. সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করে, তা হলে সেই জাতক/জাতিকার শিশুকালের পরিবেশ হবে বিশেষ ভাবে কষ্টকর, অত্যাচারিত,অবহেলিত ও ভীতিজনক।
(৫) যদি কারও জন্মছক চন্দ্র ও রাহু/চন্দ্র ও মঙ্গল লগ্ন, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে আর এই ঘরগুলি যদি কর্কট বা তুলা বা বৃশ্চিক রাশি হয়, তা হলে এই সব জাতক/জাতিকার শিশুকাল হবে অন্যের দ্বারা অত্যাচারিত এবং কষ্টকর পরিস্থিতির শিকার।
(৬) কোনও জন্মছকে তৃতীয় পতি, ষষ্ঠ পতি, অষ্টম পতি বা দ্বাদশ পতি যদি চতুর্থ ঘরে অবস্থান করে সেই জাতক/ জাতিকার শিশুকাল কারও দ্বারা যৌনভাবে নিগৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(৭) কোনও শিশুর জন্মছকে চতুর্থ ভাবে অশুভ গ্রহ যেমন শনি, রাহু, কেতু বা মঙ্গল বা চতুর্দশী বা অমাবস্যার চন্দ্র অবস্থান করে, আর শনি বা মঙ্গল বক্রী হয় এবং এই চতুর্থ ঘর অশুভ ঘর হয়, তা হলে সেই জাতক/জাতিকা শিশুকালে মা বা মাতৃস্থানীয় অবিভাবক দ্বারা অত্যাচারিত ও নিগৃহীত হবে।
(৮) পাশ্চাত্য জ্যোতিষমতে কোনও শিশুর জন্মছকে প্লুটো ও মঙ্গল যদি স্কোয়ার, মিউচুয়াল বা কনজাকশান অবথায় প্রেক্ষা পায় তবে এই শিশু কারও দ্বারা প্রবল ভাবে কাম-লালসার শিকার হবে।
(৯) উপরের ঘটনাগুলি ঘটে তখনই, যখন রাহুর মহাদশা বা অন্তর্দশা চলে। আর অবস্থাটা আরও জোড়ালো হয় শুক্র যদি রাহুর সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে।