কালসর্প যোগ যদি কোনও জাতক বা জাতিকার থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিকার করে নেওয়া উচিত কারণ কালসর্প যোগ থাকলে সে প্রতি পদে বাধার সম্মুখীন হবে। সব কিছুতে বাধা পাবে। যেদিকে এগোতে যাবে সেই দিকেই বাধা।
কালসর্প দোষের লক্ষণঃ
রাহু আর কেতু সর্বদা বিপরীত দিকে থাকবে। রাহু ও কেতুর মধ্যে সব গ্রহ থাকবে। তাহলেই তার কালসর্প দোষ যোগ হবে। রাহু ও কেতুর সঙ্গে যদি কেউ থাকে তবে সেটা আংশিক কালসর্প যোগ। আর রাহু ও কেতু যদি একাকী থাকে আর পাঁচটা ঘরের মধ্যে যদি বাদ বাকী গ্রহ থাকে তবে সেই যোগকে পূর্ণ কালসর্প যোগ বলা হয়। এটা প্রতিকার করিয়ে নিলে মানুষের অনেক উপকার হয়।
ভৌম দোষঃ
ভৌম দোষ কি? এটা সম্বন্ধে আগে আমাদের ভাল করে জানা দরকার। মঙ্গল যদি লগ্নে চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে, দ্বাদশে থাকে তাহলে বৈধব্য যোগ বলা হয়। এই যোগ যদি মেয়েদের জন্মকালীন ছকে থাকে তাহলে তার দোষে স্বামী হারা। এবং পুরুষের ছকে থাকলে তার দোষে সে পত্নী হারা হয়। সেই কারণে এই দোষ যদি কারও ছকে থাকে তা অবশ্যই কাটিয়ে নেওয়া উচিত। বিবাহের ক্ষেত্রে এটা বিবেচনা করে বিবাহ দিলে সেই বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে মানুষ এসব দিক বিচার বিবেচনা না করেই বিবাহ দিচ্ছে। সুতরাং বিচ্ছেদের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই সব দিক বিচার বিবেচনা করে বিবাহ দিলে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায় বিবাহ বিচ্ছেদের হাত থেকে।