Drawing Room

জ্যোতিষ ও ফেংসুই মতে যে ১৭টি অশুভ জিনিস বেডরুমে বা ড্রয়িংরুমে রাখতে নেই

বেডরুমে বা বসার ঘরে কোনও আত্মঘাতী ব্যক্তির বেঁচে থাকাকালীন জীবনের ছবি টাঙাবেন না। হতে পারে সে ব্যাক্তি আপনার অতি প্রিয়— এতে মনে ভয়ঙ্কর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে বাড়িতে যদি শিশু থাকে। কোনও কোনও মতে এ ভাবে বাড়িতে আর একটা আত্মহত্যার বীজ বোনা হয়।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

(১) বেডরুমে বা বসার ঘরে কোনও আত্মঘাতী ব্যক্তির বেঁচে থাকাকালীন জীবনের ছবি টাঙাবেন না। হতে পারে সে ব্যাক্তি আপনার অতি প্রিয়— এতে মনে ভয়ঙ্কর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে বাড়িতে যদি শিশু থাকে। কোনও কোনও মতে এ ভাবে বাড়িতে আর একটা আত্মহত্যার বীজ বোনা হয়।

Advertisement

(২) বেডরুমে কোনও প্রিয়জনের মৃতদেহের ছবি বা সৎকারের আগের মুহূর্তের তোলা ছবি রাখা ঠিক নয়। এতে দুঃখের যাবতীয় নেগেটিভ প্রভাব জোর করে টেনে আনা বোঝায়। এতে সমগ্র পরিবারের অমঙ্গল হয়।

(৩) কোনও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ছবি বা হাতে আঁকা অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত কোনও ছবি বেডরুমে কোনও অবস্থাতেই টাঙাবেন না। এতে অবচেতন মনে ক্রোধের সৃষ্টি হয়। যার ফলে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

(৪) বেডরুমে রক্তক্ষয়ী কোনও দাঙ্গার ছবি বা শিল্পীর আঁকা কোনও ছবি রাখবেন না। এতে হিংসাকে পক্ষান্তরে প্রশয় দেওয়া হয়। ফলে অবচেতনায় ভয়ঙ্কর ভাবে খুনের নেশা জেগে উঠতে পারে।

(৫) বেডরুমে বা বসার ঘরে ডুবন্ত কোনও জাহাজ বা নৌকার ছবি তা যতই শিল্পগুণ সম্পন্নই হোক না কেন, তা টাঙাবেন না। এতে পরিবারের আপনজনের মধ্যে যে মধুর বা স্নেহের সম্পর্ক আছে তা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

(৬) বেডরুমে বা বসার ঘরে তাজমলের কোওন ছবি বা তাজমহলের অবিকল কোনও মডেল রাখবেন না। কারণ আপাতদৃষ্টিতে তাজমহল শাহজাহানের প্রেমের স্মৃতি হলেও তাজমহল আসলে একটা কবরস্থান। এই ছবি বা মডেল পক্ষান্তরে অবচেতনে মৃত্যুর মতো বা দুঃখের মতো নেগেটিভ ভাবকে গোপনে আহ্বান করে।

(৭) বেডরুমে ভয়াল বা হিংস্র বা বিষধর কোনও জীব, জন্তু যেমন, বাঘ, কুমির, হাঙ্গর, কেউটে বা ওই জাতীয় কোন সাপ, প্যাঁচা, নেকড়ে, ইত্যাদির ছবি রাখবেন না। এতে বাড়িতে যারা বাস করে তাদের উপর বা অবচেতন মনে ভায়োলেন্সের মতো নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু বয়সের কেউ থাকলে তার কোমল মনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

(৮) বাড়িতে বিশেষ করে শোওয়ার ঘরে বা ড্রয়িং রুমের টবে কোনও কাঁটা জাতীয় ঝোপ বা গাছ বা এদের কোনও ছবি রাখবেন না। এতে পরিবারের লোকজনের মধ্যে অবচেতনায় এক ধরনের টেনশন সৃষ্টি কাজ করে।

(৯) বেডরুমে মহাভারত বা রামায়নের যুদ্ধের ছবি রাখবেন না। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি, হিংসা, মনোমালিন্য, এমনকি রক্তপাতের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

(১০) বেডরুমে বা বসার ঘরে কোথায় কৃত্রিম ফুল বা ফুলগাছ তা দেখতে যতই সুন্দর হোক বা যতই দামের হোক, সামনে রাখবেন না। এরা জীবন্ত গাছের মতো সূর্যকিরণ টেনে আনে না। ফলে বাস্তুমতে সূক্ষ্ম শক্তির যে আদান প্রদান হয় কৃত্রিম উদ্ভিদে তা হয় না। উপরন্তু এই জাতীয় ফুল বা গাছ পরিবারের সদস্যদের মানসিক ক্ষতি করে।

(১১) বেডরুমে কোনও দৈত্যদানবের ছবি তা যদি কোনও ধর্মের উপাখ্যানকে অবলম্বন করেই আঁকা হয়ে থাক, কোনও দেওয়ালে টাঙাবেন ন। এতে অবচেতন মনে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।

(১২) বাড়িতে দেওয়াল ঘড়ি থাকলে তা যেন সব সময়ই চলে। খারাপ হয়ে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে সারিয়ে আনুন বা নতুন কিনে আনুন। খারাপ বা অচল ঘড়ি টাঙানো থাকলে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে আপনার আয়ের উপর। ব্যবসায়ী হলে সে সময় মন্দা দেখা যেতে পারে। কোনও অবস্থাতেই স্লো চলা ঘড়ি লাগাবেন না। ওই ঘড়িও একই ফল দেবে।

(১৩) বেডরুমে বা বসার ঘরে কোনও জলপ্রপাতের মডেল বা ছবি টাঙাবেন না। এতে বাবাড়িতে খরচের পরিমাণ বাড়বে। চাকরি করলে পদোন্নতি আটকে যাবে।

(১৪) বেডরুমে বা বসার ঘরে কখনও নটরাজের মডেল বা ছবি মোটেই রাখবেন না। নটরাজ মানে ভগবান শিব। কিন্তু মনে রাখতে হবে নটরাজ ধ্বংস বা সংহারের প্রতীক। বসতবাটি বা বেডরুমে ধ্বংসের কোনও জিনিস আমাদের মঙ্গল করে না। একই রকম ভাবে গৃহে কোনও উগ্র দেবদেবীর মূর্তি বা ছবি রাখতে নেই।

(১৫) জ্বলন্ত চিতার কোনও ছবি বেডরুমে বা বাড়ির কোথায় টাঙিয়ে রাখতে নেই। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রোধের প্রকাশ ঘটে থাকে।

(১৬) বেডরুমে ভাঙা ফুলদানি, ভাঙা ফার্নিচার, ভাঙা কোনও ড্রয়ার, বা ওই রকম চোখে পড়ে এমন কোনও ভাঙা ব্যবহার্য জিনিস সামনে রাখতে নেই। এতে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে, ফলে মন দুঃখে ভরে ওঠে। অনেকে বলেন, এতে দারিদ্র আহ্বান করা হয়। প্রয়োজনে ভাঙা জিনিস সামনে না রেখে আড়ালে রাখা যেতে পারে।

(১৭) শোওয়ার ঘরে কোথাও ধারালো কোনও কাটারি, কুড়ুল, ছুরি, বর্শা, বল্লম, ইত্যাদি সামনা সামনি দেওয়ালে ঝুলিয়ে বা বিছানার নীচে রাখতে নেই। এতে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে আর ঘুমের ক্ষতি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন