সমস্যা সমাধানে মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা এই উপায়টি পালন করুন

মিথুন রাশির জাতক–জাতিকারা নিজের সুরক্ষার জন্য, মনের কষ্ট লাঘবের জন্য এই উপায় করতে পারেন।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share:

মিথুন রাশির জাতক–জাতিকারা নিজের সুরক্ষার জন্য, মনের কষ্ট লাঘবের জন্য এই উপায় করতে পারেন। এর জন্য ২১টি ভাল দেখে শুকনো গোটা হলুদ (হলুদগুলো যেন ভাঙা না থাকে) খানিকটা হলুদ সুতো (যদি হলুদ সুতো না পান, তা হলে পৈতের কাঁচা সুতো নিয়ে হলুদ জলে রং করে নিন), একটি ছোটো লাল কাপড় ও বটগাছের তলায় পড়ে থাকা পাঁচটি বটফল কুড়িয়ে নিয়ে আসুন। তারপর সেগুলো প্রথমে ঘরের সাধারণ জলে ও তারপর গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিন। পাঁচটি এক টাকার কয়েন নিয়ে নিন।

Advertisement

এখন জেনে নিন উপায়টি কী ভাবে সম্পন্ন করবেন-

যে কোনও বুধবার থেকে এই কাজ শুরু করুন। ওই দিন সকালে স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরে নিজেকে এবং জিনিসগুলোতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে ঠাকুর ঘরে ঠাকুরের সামনে বসুন। ২১টি শুকনো গোটা হলুদ হলুদ রঙের সুতোতে বেঁধে অর্থাৎ একটি হলুদ নিয়ে একটি সুতোতে গিট বেঁধে এই সুতোটির কিছু দূরে আরেকটি হলুদ নিয়ে গিট বেঁধে দিন।

Advertisement

এই ভাবে সব কটি হলুদ নিয়ে একটি মালা তৈরি করুন। তারপর সেই হলুদের মালাটি গণেশজীর গলায় পরিয়ে দিন। এরপর লাল কাপড়ে পাঁচটি এক টাকার কয়েন ও পাঁচটি বটফল রেখে বেঁধে নিয়ে সেই পুঁটলিটি গণেশজীর সামনে রাখুন। নিজের কষ্টের কথা ওঁর কাছে বলুন। ধূপ ও দীপ দেখান। এরপর প্রতিদিন নিজের কষ্ট বলবেন এরপর ধূপ ও দীপ দেখাবেন।

আরও পড়ুন: টিকটিকি কী ভাবে ভাগ্যের শুভ বা অশুভ বার্তা বয়ে আনে

মহিলারা ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে এই উপায় করবেন না। শুরুর দিন থেকে পরপর সব মিলিয়ে ২১ দিন ধূপ ও দীপ দেখাতে হবে। ২২ দিনের মাথায় গণেশজীর গলা থেকে হলুদের মালাটি খুলে নিন। পুঁটলিটি খুলে পাঁচটি কয়েন বের করে নিন। মালাটি এবং কাপড়ে বাঁধা বটফল কোনও নদীতে বা পুকুরে বিসর্জন দিয়ে দিন। পাঁচটি কয়েন লাল কাপড়ে বেঁধে আলমারিতে রেখে দিন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য- প্রয়োজনে পুনরায় তিন মাস বা ছয় মাস কিংবা এক বছর পরে উপায়টি আবার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুরনো কয়েনগুলি কোনও ব্রাহ্মণকে বা মন্দিরে দিয়ে দেবেন এবং নতুনগুলো আবার রেখে দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন