কোষ্ঠীতে কেন্দ্র এবং ত্রিকোণ স্থানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই কেন্দ্র এবং ত্রিকোণ স্থানের অধিপতিরা যখন নিজেদের মধ্যে সম্বন্ধ তৈরি করে, তখন অত্যন্ত শুভ যোগ যেমন মহালক্ষ্মী পরাশরীয় রাজ যোগের মত অতিপ্রভাবকারী এবং কল্যাণকারী যোগের সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় স্থানের মধ্যে দশম স্থানের মহাত্ম্য সর্বাধিক। এই শক্তিশালী কেন্দ্রীয় স্থানটির নাম রাজ্য স্থান। এই স্থানের থেকেই জাতকের সামাজিক প্রতিষ্ঠা, পদ, চাকরী, সম্মান ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়।
এখন দেখা যাক মেষ লগ্নের সঙ্গে রাজ্য স্থানের অবস্থান কী রকম হয়-
মেষ লগ্নে জাত ব্যক্তির দশম স্থান-
১। মেষ লগ্নে কারক গ্রহগুলি অর্থাৎ চন্দ্র, মঙ্গল, রবি এবং বৃহস্পতির শক্তিশালী অবস্থান থাকা অত্যন্ত শুভ ও হিতকারী হয়।
আরও পড়ুন: ফাল্গুন মাসে জন্ম হলে জাতক-জাতিকার বিদ্যাচর্চা ও পেশা কেমন হয়
২। যদি এই গ্রহগুলি দশম স্থানকে প্রভাবিত করে, তবে নিশ্চিতরূপে জাতক জীবনে সাফল্য প্রাপ্ত হয়।
৩। মেষ লগ্নে লগ্নপতি মঙ্গল পূর্ণ কারক গ্রহরূপে কাজ করে।
৪। যদি মঙ্গল দশম স্থানে উচ্চস্থ থাকে, তবে ব্যক্তির দশম স্থানও উঁচু হয় এবং মঙ্গলের এই উচ্চ অবস্থান হেতু প্রসিদ্ধ রুচক যোগেরও সৃষ্টি হয় যা পদ প্রতিষ্ঠা এবং সম্মানের দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়।
৫। এই রকমের মঙ্গল প্রভাবিত ব্যক্তি জীবনে নিশ্চিত রূপে উচ্চ পদ প্রাপ্ত হন।
৬। বিভিন্ন সরকারি উচ্চ পদ তিনি সহজেই লাভ করতে পারেন।
(যেমন- দাদাভাই নওরজির কোষ্ঠীতে এই ধরনের মঙ্গলের প্রভাব দেখা যায়।)
৭। মেষ লগ্নে জাত ব্যক্তির ক্ষেত্রে রবি পঞ্চমপতি রূপে গণ্য। অতএব রবি কল্যাণকারী এবং যোগকারী গ্রহ। রবি এবং বুধের মিলন যদি চতুর্থ বা দশম স্থানে ঘটে থাকে তবে শুভ বুধাদিত্য যোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে জাতক সমাজে উচ্চ প্রতিষ্ঠা লাভ করে থাকে।
(যেমন- নেতাজি সুভাষচন্দ্রের ছকে এই রূপ বুধাদিত্য যোগ লক্ষ্য করা যায়)
৮। মেষ লগ্নে জাত ব্যক্তির কোষ্ঠীতে দশম স্থানে শুক্র, শনি বা শুক্র মঙ্গলের সংযুক্তি ঘটলে এই ব্যক্তি কলা বিদ্যা যথা অভিনয়, গান, আবৃতি, চিত্রকলা ইত্যাদিতে পটু হয়।
(যেমন- এই যোগ অভিনেতা গোবিন্দর কোষ্ঠীতে বিদ্যমান)