জ্যোতিষশাস্ত্রে রেবতী নক্ষত্র হল সাতাশতম নক্ষত্র। জ্যোতিষমতে একেই শেষ নক্ষত্র হিসাবে ধরা হয়। রেবতী কথার অর্থ হল প্রচুর পরিমাণ বিত্তশালী। এই নক্ষত্রটি বত্রিশটি তারায় তৈরি। যাকে দেখতে একটি বাদ্যযন্ত্রের মতো। এই নক্ষত্রের অধিদেবতা পুশ্যা (যিনি সূর্যকে দেখাশোনা করেন)। এই নক্ষত্রটির জাতক-জাতিকাদের মীন রাশি, দেবগণ এবং বিংশোত্তরী ও বুধের দশায় জন্ম হয়।
• শুক্রের স্থান উচ্চ থাকায় এদের চেহারা হয় খুব আকর্ষিত। এই জাতক- জাতিকারা সাধারণত খুব মধুরভাষী হয়। এ ছাড়া এরা খুব শৌখিনতা প্রিয় হয়। সাজগোজ, ভ্রমণ পিপাসু, আনন্দপ্রিয় স্বভাবের হয়। আধ্যাত্মিক চেতনা প্রবল থাকে। এদের গায়ের রং ফর্সা হয়।
• এরা সাধারণত চিকিৎসক, লেখক, সরকারি কর্মচারী হতে পারে। যদি ব্যবসা করে, তা হলে অনেক বয়সেও রোজগার করতে পারে।
আরও পড়ুন: হৃদয়রেখা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানতেন?
• মীন রাশি বৃহস্পতির ক্ষেত্র বলে এই নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের মধ্যে জ্ঞানের প্রভাব বেশি থাকে। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে জ্ঞানের পরিধি বেশি হওয়ায় সব সময়ই এরা উচ্চমার্গে থাকে।
• এদের বুধের স্থান নীচস্থ হওয়ার জন্য এদের মন হয় দ্বিস্বভাবযুক্ত। কিছুটা শিশুদের মতো আচরণ করে। কোনও রকম কপটতা এদের মধ্যে থাকে না। এরা সহজ সরল জীবন যাপন করতে ভালবাসে। এই জাতকরা কারও অধিপত্যকে স্বীকার করে না।
• বুধ নীচস্থ হওয়ায় এরা কোনও কথা বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারে না। এরা একটু সন্দেহবাতিক হওয়ার, প্রিয়জনদের খুব একটা বিশ্বাস করে না। তবে নিজের পরিবারকে এরা খুব বিশ্বাস করে। এদের মেজাজ মাঝামাঝি প্রকৃতির হয়।