ভবিষ্যৎ জানতে কর্নারস্টোন ও ক্যাপস্টোন অক্ষর কী ভাবে আমাদের সাহায্য করে (দ্বিতীয় অংশ)

‘C’ যদি কর্নারস্টোন হয়: আপনার ভিতরের অনুভূতি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হতে আপনাকে সাহায্য করে থাকে কারণ আপনি সহজাত ভাবেই বুঝতে পারেন অন্য লোকেরা কী চায় বা কী ভাবে, আর সেই অনুযায়ী আপনি নিজেকে তাদের মতো করে মানিয়ে নিয়ে থাকেন।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০০:৪২
Share:

‘C’ যদি কর্নারস্টোন হয়: আপনার ভিতরের অনুভূতি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হতে আপনাকে সাহায্য করে থাকে কারণ আপনি সহজাত ভাবেই বুঝতে পারেন অন্য লোকেরা কী চায় বা কী ভাবে, আর সেই অনুযায়ী আপনি নিজেকে তাদের মতো করে মানিয়ে নিয়ে থাকেন। যদি বড় কোনও দায়িত্ব আপনার উপর এসে পড়ে বা যেখানে অন্য অনেক লোকের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার কথা সেখানে অংশগ্রহণ করতেআপনি মোটেই ভয় পান না।

Advertisement

‘C’ যদি ক্যাপস্টোন হয়: আপনার প্রথম নামের শেষ অক্ষর যদি ‘C’ হয়, যাকে ক্যাপস্টোন বলে, তা হলে আপনার মধ্যে খুব ভাল রকমের রসবোধ আছে। জীবনের ব্যর্থতাগুলি থেকে আপনি ভাল রকমের শিক্ষা নিয়ে থাকেন যা দিয়ে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ পরিচালনা করে থাকেন। আপনি প্রচন্ড রকমের আশাবাদী ও ক্রমাগত লেগে থাকার কারণে আপনি সহজেই লক্ষ্যে উপনীত হয়ে থাকেন।

‘D’ যদি আপনার কর্নারস্টোন হয়: জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছনো আপনার কাছে সে রকম কোনও সমস্যা নয় যদি সেটা বাস্তব জীবনসংগ্রামের কোনও অংশ হয়। কোনও কিছুকে সফল করতে তার আগে প্রচুর গবেষণা ও হোমওয়ার্ক করে তবেই আপনি মাঠে নামেন।

Advertisement

‘D’ যদি ক্যাপস্টোন হয়: ‘D’ শেষ অক্ষর হলে যতই আপনার জীবনসংগ্রাম যতই তীব্র হোক, আপনি কিন্তু সেই সংগ্রাম থেকে একচুলও সরবেন না বা পিছিয়ে আসবেন না। কারণ সেই স্ট্যামিনা, নিবিড় ভাবে লেগে থাকার ক্ষমতা ও শক্তি আপনি জন্ম থেকেই পেয়েছেন। আপনার এই দৃঢ়চেতা মন সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে আপনাকে কোনও দিন বিফল করে না।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ জানতে কর্নারস্টোন ও ক্যাপস্টোন অক্ষর কী ভাবে আমাদের সাহায্য করে (প্রথম অংশ)

‘E’ যদি কর্নারস্টোন হয়: এই ‘E’ যদি আপনার নামের প্রথম অক্ষর হয় যাকে কর্নারস্টোন বলে, তা হলে আপনি প্রথমেই কোনও কাজের সূচনা করতে অনেক গড়িমসি করে থাকেন, আবার যখন করেন তখন আপনার মধ্যে হঠাৎ আসা ভাবাবেগ কাজ করে।

‘E’ যদি ক্যাপস্টোন হয়: আপনি সব সময় কোনও ভাবাবেগ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকতে চান, যাকে আমরা চলতি কথায় মুড বলে। আপনার মুড না এলে কোনও প্রজেক্ট সম্পন্ন করা আপনার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কাজ করতে গিয়ে অন্যের পরামর্শ না নেওয়ার জন্য কোনও প্রজেক্ট শেষ করা আপনার একার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

‘F’ যদি কর্নারস্টোন হয়: আপনি দয়ালু, সহৃদয়সম্পন্ন ও অন্যদেরকে বোঝেন ভাল, কিন্তু আপনার একটাই দোষ, আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস কম। আপনি নিজের উপর আস্থা রাখতে পারেন না। যার ফলে, একাকী কোনও কাজ আরম্ভ করতে ভয় পান। আপনি সেখানেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বা সহজ ভাব আসে যেখানে আপনাকে সাহায্য করতে বেশ কিছু অনুরাগী প্রস্তুত থাকে।

‘F’ যদি ক্যাপস্টোন হয়: আপনার দোষ বলুন বা গুণই বলুন, আপনি আপনার নিজের স্বার্থকে পেছনে ফেলে অন্যের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেন। নিজের ক্ষতি হচ্ছে জেনেও অন্যকে উপকার করেন। তাই অন্যেরা আপনাকে আড়ালে ক্ষ্যাপা বলে কখনও কখনও অভিহিত করে থাকে।

(ক্রমশ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন