Sacred String Wearing Tips

আষাঢ়ে পরা বিপত্তারিণীর ডোর এখনও হাতেই রেখেছেন? ‘সুরক্ষার ডোর’-এর মেয়াদ জানা আছে? খুলে ফেলার নিয়মই বা কী?

শাস্ত্র জানাচ্ছে, প্রত্যেকটি রঙের ডোরের আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। সেগুলি পরতেও হয় নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত। খুলে ফেলার ক্ষেত্রেও মানতে হয় কিছু নিয়ম। খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রায় প্রত্যেক মন্দিরেই পুজো দিলে হাতে বাঁধার জন্য বিশেষ এক ধরনের দড়ি দেয়। সেগুলির কোনওটার রং হয় লাল, কোনওটা লাল-হলুদ, কিছু আবার হয় সাদা। ভগবানের আশীর্বাদ রূপে সেগুলি আমরা হাতে বেঁধে নিই। মনে আশা রাখি, এই ডোর দেখতে সাধারণ হলেও আসলে এর ক্ষমতা অসাধারণ। হাতে এই ডোর বাঁধা থাকলে কোনও বিপদ কাছে ঘেঁষতে পারবে না। সেই ভাবনায় অনেকেই সারা বছর ধরে ডোরটিকে হাতে বেঁধে রেখে দেন। অনেকে আবার কিছু দিন পরার পর সেটিকে খুলে যত্রতত্র ফেলে দেন। কিন্তু সেই কাজগুলি করা কি ঠিক? শাস্ত্র জানাচ্ছে, প্রত্যেকটি রঙের ডোরের আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। সেগুলি পরতেও হয় নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত। ফেলার ক্ষেত্রেও মানতে হয় কিছু নিয়ম। খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী।

Advertisement

কোন রঙের ডোরের কী বিশেষত্ব?

লাল-হলুদ: লাল-হলুদ রঙের ডোর হাতে বাঁধলে মঙ্গল ও বৃহস্পতি শক্তিশালী হয়। এর ফলে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। বিবাহিত জীবন সুখের হয়। দাম্পত্য সমস্যার হ্রাস ঘটে।

Advertisement

লাল: হাতে লাল রঙের ডোর বাঁধলে মঙ্গল উন্নত হয়। এর প্রভাবে আর্থিক সমস্যার হ্রাস ঘটে। ঋণের বোঝা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

সাদা: সাদা রঙের ডোর হাতে পরলে চন্দ্র মজবুত হয়। এর ফলে মন শান্ত, মানসিক অশান্তি করে। অর্থ সমস্যাও দূর হয়।

কালো: শনিদেবের আশীর্বাদধন্য ডোরের রং হল কালো। এই ডোর হাতে পরলে নানা বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

একটি ডোর হাতে কত দিন পর্যন্ত পরা যায়?

২১ দিনের বেশি একটি ধাগা হাতে পরে থাকতে নেই। একুশ দিনের পর এতে থাকা পজ়িটিভ শক্তি হ্রাস পায়। ফলত লাভের লাভ কিছু হয় না। একুশ দিন সেটিকে হাত থেকে খুলে ফেলাই শ্রেয়।

এই ডোর ফেলার নিয়ম কী?

হাত থেকে ডোর খুলে যেখানে-সেখানে ফেলে দিলে হবে না। এতে ভগবান রুষ্ট হতে পারেন। এগুলিকে খুলে কোনও গাছের তলায় মাটি খুড়ে পুঁতে দিতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement