ভারতীয় জ্যোতিষ মতে জন্মকুণ্ডলীতে বারোটি রাশি। প্রতিটি রাশির পরিমাপ ৩০ ডিগ্রি। দ্রেক্কাণে প্রতিটি রাশিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। সুতরাং প্রতি রাশির দ্রেক্কান ১০ ডিগ্রি করে হবে। যে রাশির দ্রেক্কাণ বিচার হবে, সেই রাশিই তার প্রথম দ্রেক্কাণ। তারপর রাশি থেকে পঞ্চম এবং নবম ভাব যথাক্রমে তার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দ্রেক্কাণ। এই নিয়মে প্রতি রাশির তিনটি দ্রেক্কাণ হিসাবে দ্বাদশ রাশিতে ৩৬টি দ্রেক্কাণ হয়। এই দ্রেক্কাণ থেকে জাতকের দৈহিক গঠন ও প্রকৃতি বিচার করা হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক মেষ রাশির ক্ষেত্রে দ্রেক্কাণের ফলঃ—
প্রথম দ্রেক্কাণঃ—
রাশির ০°-১০° পর্যন্ত স্থান। মেষ রাশি। অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। জাতক পুরুষ প্রকৃতি, কৃষ্ণবর্ণ ও ক্রোধী হবে। ব্যক্তি কটিতে শুভ্রবস্ত্র পরিধান করতে পছন্দ করবে এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করবে। এদের স্বভাব ভীষণ এবং চক্ষু রক্তবর্ণসদৃশ হয়। এরা কুঠারধারীর ন্যায় ভাব প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত জানাই যে দ্রেক্কাণ ফল বর্ণনায় প্রাচীন আচার্য নানাবিধ রূপকের ব্যবহার করেছেন। আধুনিক যুগে আমাদের পক্ষে তার মর্মার্থ গ্রহণ করা কর্তব্য। যেমন এ ক্ষেত্রে বোঝানো হচ্ছে যে মেষ রাশির প্রথম দ্রেক্কাণাংশে জাত ব্যক্তি ক্রোধী, ক্ষত্রিয় স্বভাব সম্পন্ন হবে।
দ্বিতীয় দ্রেক্কাণঃ—
রাশির ১০°-২০° পর্যন্ত। রাশি সিংহ। অধিপতি গ্রহ রবি। জাতক স্ত্রী প্রকৃতি, রক্তবস্ত্রপ্রিয় এবং খাদ্যলোলুপ হবে। অশ্বের ন্যায় আকৃতি বিশিষ্ট মুখ এবং কুম্ভের ন্যায় উদর হবে। জাতক অধিকাংশ সময় পিপাসাযুক্ত অর্থাৎ পিত্তপ্রধান হবে।
তৃতীয় দ্রেক্কাণঃ—
রাশি ২০°- ৩০° পর্যন্ত। রাশি ধনু। অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি। পুরুষ প্রকৃতি। জাতক ক্রুর, কর্মী, কলাজ্ঞানী হবে। সে নিয়ম পালনে সমর্থ না হওয়ার দরুন উদ্ধত, শাসনপ্রিয় এবং ক্রোধী হবে। কপিল বর্ণের জাতক রক্তবস্ত্র পরিধান করতে পছন্দ করবে।