—প্রতীকী ছবি।
মা দুর্গাকে বিদায় জানানোর পর তাঁর বড় মেয়ে লক্ষ্মীকে ঘরে আনার সময় চলে এল। প্রায় সকল বাঙালি হিন্দু বাড়িতেই কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মীপুজো করা হয়। দশমী গেলেই তাই ভারাক্রান্ত মন নিয়েই শুরু হয়ে যায় দেবীকে বাড়িতে আনার তোড়জোড়। এর প্রথম ধাপই হল ঘর পরিষ্কার করা। নোংরা বাড়িঘর দেবী লক্ষ্মীর মোটেই পছন্দ নয়। কিন্তু যেমন-তেমন ভাবে ঘর পরিষ্কার করলেও চলবে না। মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার আগে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রেখে ঘর গোছাতে হবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
লক্ষ্মীপুজোর আগে কী ভাবে ঘর পরিষ্কার করবেন?
১. বাড়িতে জঞ্জাল জমিয়ে রাখলে কেবল নেগেটিভ শক্তির পরিমাণই বৃদ্ধি পায় না, মা লক্ষ্মীও বাড়িছাড়া হন। তাই অব্যবহৃত জিনিসপত্র, ভাঙাচোরা বস্তু, দরকার নয় এমন সকল জিনিস বাড়ি থেকে দূর করতে হবে। না হলে মা লক্ষ্মী বাড়িতে আসবেন না।
২. আমাদের বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ বা ঈশান কোণকে দেবতার স্থান মনে করা হয়। সেই স্থান অবশ্যই লক্ষ্মীপুজোর আগে পরিষ্কার করতে হবে। সেখানে কোনও অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে সেই কোণে যেন ঠিকঠাক আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে।
৩. পুজোর আগে নুনজল দিয়ে ঘর মুছুন। ঘরে ধুনোর ধোঁয়া দিন। এতে ঘরের বাতাস শুদ্ধিকরণ হয়। ঘরে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
৪. বাড়ির সদর দরজাকে ধনসম্পদ আসার জায়গা হিসাবে মনে করা হয়। বিশ্বাস রয়েছে যে, এই স্থানে দেবী লক্ষ্মী বসবাস করেন। সদর দরজার সামনেটা ভুলেও অপরিষ্কার রাখা যাবে না। সেখানে জুতো জমিয়ে রাখবেন না। সেখানে পাতা পাপোশটিও পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়লা জমা পাপোশ পাতা যাবে না। পুজোর দিন সদর দরজার সামনে আলপনা ও লক্ষ্মীদেবীর পা আঁকার আগে সেই স্থানটিকে ভাল করে মুছে নিতে হবে। তার পরেই আলপনা আঁকা যাবে।
৫. বাড়ির যে স্থানে টাকাপয়সা ও গয়না রাখেন, সেই জায়গাটিকেও ভাল করে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখতে হবে। তা হলেই সমৃদ্ধি আসবে। অগোছালো কোনও কিছুই দেবী লক্ষ্মী পছন্দ করেন না।
৬. লক্ষ্মীপুজোর আগে বাড়ির রান্নাঘরও ভাল করে পরিষ্কার করতে হয়। কারণ মা লক্ষ্মী শস্যেরও দেবী। তাই চাল-ডাল-মশলা রাখার জায়গা, গ্যাস অভেন প্রভৃতি সমস্ত কিছুই ভাল করে পরিষ্কার করে রাখা আবশ্যিক।
৭. আলপনার ক্ষেত্রে সাদার সঙ্গে লাল ও হলুদ রং ব্যবহার করতে পারেন। কারণ হলুদ বৃহস্পতির রং, এটি ধনসম্পদের প্রতীক। আর লাল রং মা লক্ষ্মী খুব পছন্দ করেন বলে মনে করা হয়।