—প্রতীকী ছবি।
৩ অক্টোবর, শুক্রবার রাতে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে প্রবেশ করবে শনি। বক্রীদশাতেই ঘর পরিবর্তন হবে শনির। উত্তরভাদ্রপদ থেকে পূর্বভাদ্রপদে গমন করবে শনি। সেখানেই থাকবে ২০ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। পূর্বভাদ্রপদ হল বৃহস্পতির নক্ষত্র। অন্য দিকে বক্রীদশায় নক্ষত্র পরিবর্তন করলেও, পূর্বভাদ্রপদে থাকাকালীনই শনি বক্রীদশা মুক্ত হবে। চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর শনি বক্রীত্ব ত্যাগ করবে। পূর্বভাদ্রপদে শনির অবস্থানের ফলাফলস্বরূপ সমস্ত রাশিকেই কিছু না কিছু ফল ভোগ করতে হবে। বক্রীত্ব ত্যাগের পর সেই ফল আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করবে বলে বিশ্বাস। তবে তিন রাশির জন্য এই পরিবর্তন সুখের হয়ে উঠতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষী।
কোন তিন রাশি ভাল ফল পাবেন?
সিংহ: যে সকল সিংহ রাশির ব্যক্তিরা এত দিন শনির কুপ্রভাবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা এই পরিবর্তনের ফলে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন। শনি বক্রীদশা পরিবর্তনের পর সেই ফল আরও কমবে, শুরু হবে সুখের সময়।
ধনু: ধনু রাশির এখন শনির ঢাইয়া চলছে। এর ফল কতটা মারাত্মক হয় সেটা তাঁরাই জানেন, যাঁরা ভোগ করেছেন। কিন্তু শনির পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে প্রবেশ সেই খারাপ ফলের প্রভাব কিছুটা হলেও কমাবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
কুম্ভ: বর্তমানে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা শনির সাড়েসাতির শিকার। সাড়েসাতির ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমরা প্রায় সকলেই অবগত। এর প্রভাবে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কুম্ভ রাশির ব্যক্তিরাও শনির নক্ষত্র পরিবর্তনের ফলে কুপ্রভাবের কবল থেকে স্বস্তি পাবেন।
এই তিন রাশি বাদে বৃষ রাশি এবং কন্যা রাশির ব্যক্তিরাও ভাল ফল পেতে পারেন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। তবে সবটাই নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্মছকে শনি কোন ঘরে অবস্থান করছে সেটির উপর। শনি যদি খারাপ ঘরে থাকে তা হলে ভাল ফলের আশা না করে সতর্ক থাকাই কাম্য। এ ছাড়াও কর্মফলদাতা গ্রহ শনি এক জন মানুষের কাজের বিচারে ফল দান করেন। সে ক্ষেত্রে খারাপ কাজ করলে যে কোনও দশাতেই, যে কোনও অবস্থাতেই শনির রোষের মুখে পড়তে হবে। তাই সতর্ক হয়ে জীবনের নানা পদক্ষেপ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।