—প্রতীকী ছবি।
জন্মছকে থাকা নানা দোষের মধ্যে অন্যতম ভয়ঙ্কর হল পিতৃদোষ। পূর্বজন্মে পিতা বা পিতৃতুল্য ব্যক্তির দ্বারা অভিশাপ পেলে পিতৃদোষ সৃষ্টি হয়। পিতৃদোষ যে কেবল পূর্বজন্মেরই হয়, তা নয়। পূর্ববর্তী কয়েক জন্মের দোষও হতে পারে। পিতৃদোষ থাকলে কাজ, পড়াশোনা ইত্যাদি বিষয়ে অশুভ ফলপ্রাপ্তি হয়। কোষ্ঠীতে পিতৃদোষ থাকার ফলে অনেক সময় সন্তানভাগ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত হতে হয় অথবা সন্তান বিপথে গমন করে। সর্বদা কোষ্ঠীবিচার করে জন্মপত্রিকায় পিতৃদোষ রয়েছে কি না সেটা বোঝা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই দোষের প্রভাবে আমাদের রোজকার জীবনে নানা সমস্যা দেখা যায়। সেগুলি বিচার করেও এটি নির্ধারণ করা সম্ভব।
কোষ্ঠীতে পিতৃদোষ রয়েছে কি না কী ভাবে বুঝবেন?
পারিবারিক সমস্যা: কোনও কারণ ছাড়াই যদি বাড়ির লোকেদের সঙ্গে আপনার ঝামেলা লেগে থাকে তা হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এটি পিতৃদোষের অন্যতম লক্ষণ।
সম্পর্কে সমস্যা: বার বার বিয়েতে বাধা অথবা দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যদি ঝামেলা লেগেই থাকে তা হলে সেটিকেও পিতৃদোষের কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়।
আর্থিক সমস্যা: জন্মছকে পিতৃদোষ থাকলে আর্থিক ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বহু চেষ্টার পরেও হাতে টাকা থাকে না। আয়ের তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় ঋণের জালেও ফাঁসতে দেখা যায়।
উদ্বেগ: উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়াকেও পিতৃদোষের অন্যতম লক্ষণ হিসাবে মনে করছে শাস্ত্র। আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কোনও কারণ ছাড়াই মনে সর্বদা একটা ভয় কাজ করে।
সন্তানঘটিত সমস্যা: কোষ্ঠীতে পিতৃদোষ থাকলে সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত হন অনেকে। কখনও সন্তানহীনতা হতে দেখা যায়, কখনও আবার সন্তান বিপথগামী হয়। সন্তান বিভিন্ন ভাবে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় না অথবা তাঁদের অবাধ্য হতে দেখা যায়।