—প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোর দিনগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশ-বিদেশে প্রায় সকল বাঙালি হিন্দুদের মনেই লেগে গিয়েছে পুজোর হাওয়া। বর্ষার কালো মেঘ কেটে গিয়েছে, আকাশ ঢেকেছে শরতের সাদা মেঘে। মহালয়া থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। তার আগে ১৫ দিন ধরে চলে পিতৃপক্ষ। এই বছর পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে। সেটি চলবে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
পিতৃপক্ষের সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জল অর্পণের রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। এই কাজ করার ফলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। কোনও পুরোহিত বা ব্রাহ্মণের সাহায্যে এই ক্রিয়া করতে হয়। ক্রিয়া শেষে ব্রাহ্মণদের দক্ষিণা দেওয়া এবং ভোজন করানোর প্রথা রয়েছে। এই সময় অনেকে দরিদ্রদের নানা জিনিস দান করে থাকেন। তর্পণের পর কাক ও কুকুরদের খাওয়ানো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচনা করা হয়।
আমরা সাধারণত মহালয়ার ভোরবেলাতেই তর্পণ করতে যেতে দেখি বা করে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই পিতৃপক্ষ চাকালীন অন্যান্য সময়ও তর্পণ করা যেতে পারে। তবে মহালয়ার দিন তর্পণ করার রীতিই শ্রেষ্ঠ। বিশ্বাস করা হয় যে, পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ-শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্বপুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাঁদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। জ্যোতিষীদের মতে, শ্রাদ্ধ না করলে আত্মা মুক্তি পায় না। পিতৃপক্ষের নিয়মকানুন পালন করে দাতব্য করলে রাশিচক্রের পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
পিতৃপক্ষের কোন দিন কী নামে পরিচিত?