—প্রতীকী ছবি।
সমস্ত জ্যোতিষীদেরই কমবেশি একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ভাগ্যে প্রাপ্তিযোগ রয়েছে কি না। কোনও কোনও মানুষ সরাসরি জানতে চান লটারি পাবেন কি না, কোন সংখ্যা তাঁর জন্য শুভ বা কোন সংখ্যার লটারি কাটলে লটারি পাবেন।
এই বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব খুবই জটিল যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা বেশ কঠিন। তবে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব তুলনামূলক সোজা।
সংখ্যাতত্ত্বে দুটি সংখ্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, জন্মসংখ্যা এবং নামসংখ্যা। সংখ্যাতত্ত্বে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যার গুরুত্ব সর্বাধিক। প্রত্যেকটি সংখ্যাই এক এক গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত।
জন্মসংখ্যার অর্থ হল জন্মদিন, মাস এবং বছরের সংখ্যার যোগফলকে এক সংখ্যায় পরিবর্তিত করলে যে সংখ্যা আসে সেই সংখ্যা। নামসংখ্যার অর্থ হল নাম এবং পদবি সংখ্যায় পরিবর্তন করলে একক যে সংখ্যা আসে সেই সংখ্যা।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী প্রত্যেক নর-নারীর নামের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তাঁর সৌভাগ্য সংখ্যা বা ‘লাকি নাম্বার’। ব্যক্তির নামের ইংরেজি বর্ণমালার যোগফল বা নামসংখ্যা হল নির্দিষ্ট মানুষের সৌভাগ্য সংখ্যা বা লাকি নাম্বার। জন্মসংখ্যাও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই হিসাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম বা জন্মসংখ্যা অবশ্যই সেই ব্যক্তির বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে শুভ ফল দান করে। তবে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বা লটারি, যা-ই হোক তা বিশেষ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি দেয় রাহু, রাহু হঠাৎ দেয় এবং হঠাৎ নেয়ও।
কখন প্রাপ্তি সম্ভব? জন্মছকে প্রাপ্তিযোগ থাকলে তবেই প্রাপ্তি সম্ভব। না থাকলে ছোটখাটো প্রাপ্তি হলেও, বড় ধরনের প্রাপ্তি হবে না। জন্মছকে প্রাপ্তিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহের গোচরে বা নির্দিষ্ট গ্রহের মহাদশা-অর্ন্তদশা কালে উক্ত প্রাপ্তিযোগ সক্রিয় হলে তবেই প্রাপ্তি হবে, অন্যথায় প্রাপ্তি হবে না। প্রাপ্তিযোগ থাকা সত্ত্বেও যোগ সক্রিয় না হলে ছোটখাটো প্রাপ্তি হলেও, বড় কিছু প্রাপ্তি সম্ভব না। প্রাপ্তিযোগ না থাকলে বা প্রাপ্তিযোগ সক্রিয় না হলে যতই হিসাব করে জন্মসংখ্যা বা সৌভাগ্যসংখ্যা প্রয়োগ করুন, কপালে ব্যর্থতাই জুটবে।