—প্রতীকী ছবি।
আমাদের আশপাশে বহু মানুষই রয়েছেন যাঁরা চাকচিক্য ব্যতীত জীবন ভাবতেই পারেন না। সর্বদা নাটুকে পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন। সাদামাঠা জীবন তাঁদের কাছে একঘেয়ে বলে মনে হয়। ঠিক তেমনই এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা জীবনের একঘেয়েমিতেই আনন্দ খুঁজে পান। আড়ম্বরপূর্ণ জীবন তাঁদের কাছে কষ্টকর ঠেকে। রাশিচক্রের পাঁচটি রাশি রয়েছে যাঁরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই সাদামাঠা জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। তবে অন্য কোনও রাশির লোক যে এই দলে নেই তা নয়। কিন্তু এই পাঁচ রাশির ব্যক্তিদের সংখ্যাই এই তালিকায় বেশি বলে মনে করা হয়।
কোন পাঁচ রাশি ছিমছাম জীবন কাটানোয় বিশ্বাসী?
মেষ: যে কোনও প্রকার ঝামেলা থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে পছন্দ করেন মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা। কোনও কিছু নিয়ে বাড়তি আদিখ্যেতা এঁদের পছন্দ নয়। বরং সহজ-সরল জীবন যাপনেই এঁরা নিজেদের সুখ খুঁজে পান। রোজকার জীবনের নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকাতেই বিশ্বাসী মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা।
কর্কট: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সুখের সময় কাটানোই কর্কট রাশির কাছে আসল বিলাসিতা। এর বাইরে এঁদের আর বিশেষ কিছু চাহিদা থাকে না। এই রাশির ব্যক্তিরাও শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। অযথা ঝামেলায় জড়িয়ে নিজেদের সময় নষ্ট করেন না।
কন্যা: কন্যা রাশির ব্যক্তিরা আড়ম্বরপূর্ণ জীবন কাটাতে মোটেই পছন্দ করেন না। এঁরা অল্পেই খুশি হন। যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুর বাইরে বাড়তি চাহিদা রাখার বিরোধী কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা। বিলাসিতা এঁদের আসে না। সাদামাঠা জীবন কাটাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এই রাশির লোকেরা।
মকর: নিয়মানুবর্তিতার ঘেরাটোপে জীবন কাটাতে পছন্দ করেন মকর রাশির জাতক-জাতিকারা। লোকের নামে কূটকচালি করা, মানুষের ক্ষতি করা এ সব তাঁদের জীবনের পাঠক্রম থেকে আলোকবর্ষ দূরে থাকে। দুপুরের ডালভাত ও রবিবারের মাংসের ঝোলই এঁদের প্রকৃত সুখের আশ্বাস দেয়।
মীন: মীন রাশির ব্যক্তিরা ‘আবেগের দাস’। কেউ যদি এঁদের সঙ্গে দু’দণ্ড ভাল ভাবে কথা বলেন, তা হলেই এঁরা সেই মানুষকে আপন ভেবে নেন। পরিবারে হোক বা কর্মক্ষেত্রে, কোনও প্রকার ঝামেলা থেকে এঁরা নিজেদের দূরে রাখতে পছন্দ করেন। ভালবাসার মানুষদের নিয়ে সুখে জীবন কাটাতে পারলেই এঁরা খুশি। বিলাসবহুল জীবনের প্রতি এঁদের কোনও ঝোঁক নেই।