বিয়ে যেমন দু’টি মনের মিলন, তেমন
দু’টি পরিবারের মধ্যেও সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই কারণে বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের কোষ্ঠী
বিচার করা হয়। কারণ দু’জনের জন্মছকের উপর তাঁদের বিবাহিত জীবন কেমন হবে সেটির
অনেকটাই নির্ভর করে। কেবল মনের মিল থাকলেই যে বিবাহিত জীবন সুখের হবে তেমনটা নয়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বহু বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেও সেই সম্পর্ক টেকে না। এর
নেপথ্যে থাকতে পারে দুই ভুল রাশির মানুষের মধ্যে বিয়ে হওয়া। রাশিচক্রের বারোটি রাশির
মধ্যে কয়েকটি রাশির সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু রাশির বিয়ে হলে সংসার সুখের হয় না। ঝগড়া
লেগেই থাকে, শেষে গিয়ে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।
কেবল বৈবাহিক জীবন নয়, কোনও
ব্যবসার কাজও এই সকল রাশির মানুষেরা যদি একসঙ্গে করেন, তা হলে মুশকিলে পড়তে দেখা
যায়। এঁদের মধ্যে ঝামেলার অন্ত থাকে না। প্রথম প্রথম সব কিছু ঠিকঠাক চললেও, পরে
গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এঁদের মধ্যে বন্ধুত্বও সুখকর হয় না।
কোন কোন রাশির মধ্যে সম্পর্ক সুখের
হয় না?
- মেষ ও কন্যার মধ্যে বিয়ে থেকে
ব্যবসা, কোনও ক্ষেত্রেই সম্পর্ক মধুর হয় না। প্রথমে সব ঠিক থাকলেও, পরে গিয়ে
সম্পর্কের মাধুর্য হারিয়ে যায়।
- বৃষ ও ধনুর মধ্যেকার সম্পর্ক প্রথম
কিছু দিনের পর থেকেই তিক্ততায় ভরে ওঠে। এঁদের মধ্যে বিয়ে হলেও সেটা বেশি দিন টেকে
না।
- মিথুন ও বৃশ্চিকের মধ্যে বিয়ে হলে
সেই বিয়ে খুব কম ক্ষেত্রেই টিকতে দেখা যায়। এঁদের মধ্যে সর্বদা ঝগড়া-ঝামেলা লেগেই
থাকে।
- কর্কট ও কুম্ভের মধ্যে যে কোনও
ক্ষেত্রেই সম্পর্ক স্থাপিত হলে সেটা সুখকর হয় না। কথায় কথায় ঝামেলা হয়। এঁদের দু’জনেরই
জীবন তিক্ততায় ভরে ওঠে।
- সিংহ রাশির ব্যক্তিরা মকর রাশির
মানুষদের প্রায় সহ্য করতে পারে না বললেই চলে। কখনও, জীবনের কোনও ক্ষেত্রে এঁদের
যদি একসঙ্গে থাকতেও হয়, তা হলেও সেই থাকার স্থায়িত্ব বেশি দিন হয় না।
- কন্যা ও মেষের মধ্যেকার সম্পর্কও মধুর
হয় না। এই দুই রাশির একসঙ্গে কোনও কিছু না করাই ভাল বলে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে
ব্যবসা, এমনকি এই দুই রাশির মধ্যে বন্ধুত্ব হলেও সেই সম্পর্কে ছেদ আসতে দেখা যায়।
- তুলা যদি বিড়াল হয়, মীন তা হলে
ইঁদুর। এঁদের মধ্যে সর্বদা ঝামেলা লেগেই থাকে। সেই ঝামেলার পরিণতি হয় বিচ্ছেদ।