—ফাইল চিত্র।
২৭ জুন শুক্রবার, ২০২৫ রথযাত্রা পালিত হবে। এই দিন প্রভু জগন্নাথ, প্রভু বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা নগর ভ্রমণ করেন। তাঁরা তিন জনে রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বেশ কয়েক দিন মাসির বাড়ি থাকার পর তাঁরা আবার নিজের বাড়ি ফিরে আসেন। কোথাও সেটি দশ দিন পর পালিত হয়, কোথাও আবার সাত দিন পর পালন করা হয়। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি থেকে পুনরায় নিজের বাড়ি ফিরে আসার দিনটি উল্টোরথ হিসাবে পালন করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, রথযাত্রার দিন বিশেষ কিছু টোটকা করতে পারলে সংসারে দ্বিগুণ উন্নতি হয়। এই টোটকাগুলি পালনে আর্থিক দিকেও স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।
দেখে নেব টোটকাগুলি কী কী:
১) রথের দিন যে কোনও জগন্নাথ মন্দিরে হলুদ রঙের নতুন বস্ত্রের উপর ১১ রকমের ফল, ১১ রকমের মিষ্টি এবং ১১টি কয়েন রেখে অর্পণ করে মনের ইচ্ছা জানান। নিষ্ঠাভরে এই কাজটি করতে পারলে মনস্কামনা পূরণ হয়।
২) রথযাত্রার পরের দিনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৩) এই দিন নিরামিষ আহার করতে হবে। বাড়িতে কোনও রকম আমিষ রান্না করা যাবে না।
৪) জগন্নাথদেবকে এই দিন সাদা এবং হলুদ রঙের ফুল দিয়ে সাজান।
৫) জগন্নাথদেবের মন্দিরে ময়ূরের পালক অর্পণ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৬) বাড়ির সামনে দিয়ে বড় রথ না গেলেও, বাচ্চাদের ছোট রথের দড়ি ধরে টানুন কিংবা রথের দড়ি ছুঁলেও হবে। খুব ভাল ফল পাওয়া যায়, জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ লাভ হয়।
৭) একটা মাটির প্রদীপে ঘি এবং দুটো লবঙ্গ দিয়ে যে কোনও জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে জ্বালুন।
৮) রথ যে হেতু জয়ের প্রতীক, তাই এই দিন যে কোনও টোটকা নিষ্ঠাভরে পালন করতে পারলে ভাগ্য জয় করা যায়।
৯) রথের দিন বাড়িতে গাছ লাগানো অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়।
১০) রথের দিনটি দান করার জন্য খুবই শুভ। নিজের সাধ্যমতো যে কোনও জিনিস এই দিন দান করা যেতে পারে।