সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পিছনে রাশির ভূমিকা (শেষ পর্ব)

এখানে রাশিচরিত্র কী ভাবে আমাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে পারে তার একটা অভিজ্ঞতালব্ধ আভাস দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

বৃশ্চিক- বৃশ্চিক রাশি সম্বন্ধে বিখ্যাত বৃটিশ জ্যোতিষ ও থিয়োসফিস্ট বলেছেন পৃথিবীতে দু’ধরনের বৃশ্চিক রাশির মানুষ বিচরণ করে। এক ধরনের মানুষ যারা প্রতিশোধপরায়ণ নয় এবং খুব ভাল স্বভাবের। আর অপর ধরনের মানুষ প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত। তবে প্রেম ভালবাসার দিক থেকে সব বৃশ্চিক রাশিই ভীষণ ভাবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি উৎসর্গীকৃত প্রাণ। তাই তার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী যদি তার ভালবাসাকে দুর্বলতা ভাবে বা আন্ডার এস্টিমেট করে, তা হলে সে ভীষণ ভুল করবে। কারণ, সে বৃশ্চিক রাশির অন্ধকার দিকটা সম্বন্ধে মোটেই ওয়াকিবহাল নয়। সেটা যদি বৃশ্চিক রাশি তার বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ব্যক্ত করে বা প্রকাশ করে, তা হলে সেটা হবে ভীষণ এক ধরনের প্রতিশোধ যা সাধারণত হয়ে থাকে নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম।

Advertisement

ধনু- ধনু হচ্ছে সবথেকে বর্হিমুখী রাশি। এরা দ্বিস্বভাবযুক্ত। এদের প্রেম ভালবাসা ভীষণ অগভীর। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অত্যাধিক চাওয়া পাওয়া থাকে। বিপরীত লিঙ্গের মধ্যে নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করে থাকে। তার উপর, বর্হিমুখী চরিত্রের কল্যাণে এরা কেয়ারলেস জীবনযাপনে অভ্যস্ত। ফলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তাদের সে ভাবে সহানুভূতি ও স্নেহের প্রকাশ থাকে না। তাই বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের পক্ষে ধনুর মানূষদের পরিচালনা করা বা এদের সঙ্গে ঘর সংসার করা এক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

মকর- মকর হচ্ছে বাস্তববাদী, কাঠখোট্টা রাশি। অন্ততপক্ষে প্রেম ভালবাসার দিক থেকে। এদের জীবন সংগ্রামই এদের খুব বেশি প্র্যাকটিক্যাল ও কঠোর পরিশ্রমী করে তোলে। পরবর্তী জীবনে তাদের যতই আর্থিক স্বচ্ছলতা আসুক না কেন, এরা হৃদয় ও মন থেকে সেই হার্ডনেস ঝেরে ফেলে দিতে পারে না। ফলে এদের বিপরীতে যারা এসে থাকে তারা যদি এদের জীবন সংগ্রামকে খুব ছোট করে দেখে বা সে ভাবে মকরের পরিশ্রম জনিত জীবনকে প্রশংসার চোখে না দেখে, সেখানে সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয় না। এরা যদি বোঝে তার সঙ্গী সে ভাবে তার জীবনসংগ্রাম মূল্য না দিয়ে অন্য চোখে দেখছে, সেখানে সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: আসছে কিস ডে, কী কী কারণে চুমু খাওয়া হয় জানেন?

কুম্ভ- কুম্ভ রাশিচক্রে উচ্চ হৃদয়, মন ও ভাবের রাশি। সর্বোপরি কুম্ভ হচ্ছে বন্ধুত্বের রাশি, সম্পর্কের রাশি, বিশ্ববন্ধুত্বের রাশি। তাই কুম্ভের কাছে যে কোনও সম্পর্কের একটা বিশেষ মাত্রা আছে। কুম্ভের ভাবধারা সাধারণের থেকে একটু অন্য ধরনের। তাই এরা যাদের জীবনের সঙ্গে জড়াতে চায়, তারাও যেন সেই ভাবধারার হোক এটাই চেয়ে থাকেন। এরা দাম্পত্য জীবনে বা প্রেমের জীবনে বা বন্ধুত্বের জীবনে সম মানসিকতার মানুষ খোঁজে। এরা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে আত্মার আত্মীয়কে খোঁজে, যেটা আর কোনও রাশি সে ভাবে খোঁজে না। এদের এই রকম অদ্ভুত স্বভাব। স্বভাবতই এরা যদি দেখে ঘর বাঁধতে গিয়ে পরে দেখে ভুল নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, সেখানে সম্পর্কটা আর বেশি দিন টেকে না।

মীন- ভয়ঙ্কর স্বপ্নালু স্বভাবের রাশি মীন। বাস্তব জীবনযুদ্ধে এরা কেমন যেন পলাতক। তার উপর মিউটেবল স্বভাবের রাশি, সিদ্ধান্তহীনতা ভোগে, দিবাস্বপ্ন দেখে। এরা যদি কাউকে জীবনসঙ্গী করে, তার সম্বন্ধে কেমন যেন উদাসীন ব্যবহার করে থাকে। প্রেমিক/প্রেমিকা হলে কেমন যেন পাগলাটে ভাব, অসংলগ্ন ভাবে কথাবার্তা বলে। জীবন সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। বিপরীত লিঙ্গের খাওয়া ও পড়া সম্বন্ধে কেমন যেন দায়িত্বহীন ভাব, সংসার জীবনে দায়িত্ব না নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো, যেটা আর কোনও রাশির মধ্যে দেখা যায় না। স্বাভাবিকভাবেই মীনের জাতক/জাতিকাকে বিয়ে করলে তাদের সংসার জীবন বেশি দিন স্থায়ী হবে না, যদি না অন্যান্য গ্রহগত বল বেশ শক্তিশালী থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন