National News

৯৫% পেয়ে চাষ করতে চায় দিনমজুরের মেয়ে

ডি উমা মহেশ্বরী। দিন মজুরের সংসারে অভাবকে নিত্যসঙ্গী করেই বড় হয়েছে এই মেয়ে। কিন্তু দারিদ্রকে স্বপ্ন দেখার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দিতে কোনও মতেই রাজি ছিল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৪:০২
Share:

ডি উমা মহেশ্বরী। দিন মজুরের সংসারে অভাবকে নিত্যসঙ্গী করেই বড় হয়েছে এই মেয়ে। কিন্তু দারিদ্রকে স্বপ্ন দেখার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দিতে কোনও মতেই রাজি ছিল না। সেই জেদে ভর করেই আজ এসএসএলসি (তামিলনাড়ু বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা)-তে ৫০০-র মধ্যে ৪৭৪ নম্বর পেয়ে চমকে দিয়েছে উমা। ১০০-র মধ্যে ১০০ পেয়েছে সমাজ বিজ্ঞানে। তামিলে পেয়েছে ৯৯, বিজ্ঞানে ৯৫, ইংরেজিতে ৯৪ ও অঙ্কে ৮৬।

Advertisement

তামিলনাড়ুর তিরুচি কুট্টুরের গর্ভনমেন্ট আদি দ্রাবিড় ওয়েলফেয়ার গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী উমা এর পর পড়তে চায় এগ্রিকালচার নিয়ে। কুট্টুরের অন্না নগরের এক চিলতে ঘুপচি ঘরে বড় হয়েছে উমা। বাবা বি ধর্মরাজ, মা অন্নলক্ষ্মী দুজনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। রয়েছে আরও দুই ভাই বোন। দারিদ্রের চোখরাঙানিকে তোয়াক্কা না করে সাফল্যের স্বাদ পাওয়া উমা বলেন, ‘‘আমাদের নিজেদের কোনও জমি নেই। কিন্তু আমি চাষবাস করতে চাই। তাই পড়াশোনাও করতে চাই এগ্রিকালচার নিয়ে। জানি না বাবা আমার উচ্চশিক্ষার খরচ চালাতে পারবেন কিনা।’’

আরও পড়ুন: দুইয়ে মিলে পাঁচ ফুট! এঁরাই দেশের সবচেয়ে খাটো দম্পতি!

Advertisement

উমা না জানলেও বাবা কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মেয়ের স্বপ্নপূরণ করবেনই। পরিবারের দৈনিক আয় ৪০০ টাকা। কিন্তু তার জন্য কিছু আটকে থাকবে কেন? গর্বিত বাবা বললেন, ‘‘আমার ছেলে সবচেয়ে বড়। গভর্নমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে শেষ বর্ষের ডিপ্লোমার ছাত্র। আমার ছোট মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরিশ্রম করে যাব। ছেলেমেয়েদের স্বপ্নপূরণ করতেই হবে যে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement