পাশ্চাত্যের মনীষীরা, বিশেষ করে কিরো (ইংল্যান্ড), উইলিয়াম জি, বেনহ্যাম (আমেরিকা), ই, রেনি (ফ্রান্স), সেন্ট জারমেন এবং নোয়েল জ্যাকুইন বহু গবেষণা করে হাত দেখে বিভিন্ন রোগ এবং তা নিরাময়ের জন্য রত্নের কথা বলে গিয়েছেন। বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও সেই সঙ্গে তার প্রতিকারে কী রত্ন বা উপরত্ন ধারণ করবেন দেখে নেওয়া যাক।
মাথার রোগ হলে
ক। হাতের নখের রং হলুদ হবে।
খ। মঙ্গলের ক্ষেত্রে কোনও অশুভ চিহ্ন।
(যেমন তিল, ক্রস, জাল, যব ইত্যাদি) থাকবে।
গ। মঙ্গলের ক্ষেত্র বেশি পুষ্ট থাকবে এবং তার সঙ্গে মঙ্গলরেখা থাকবে।
প্রতিকার: ‘পান্না’ অথবা ‘অ্যাকুয়া মেরিন’ অথবা ‘জেড’ অথবা ‘ফিরোজা’ অথবা ‘ওনেক্ ম’ এবং সেই সঙ্গে চান্দ্রেয়ী মুক্তো (natural pearl) বা সিলোনী মুনস্টোন ধারণ করতে হবে।
উন্মাদ রোগে
শ্বেত প্রবাল, সিলোনী গোমেদ, বার্মিজ চুনী সুফল দেবে।
হৃদরোগ হলে
ক। রবি শুভ, কিন্তু শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি অশুভ হবে।
খ। হৃদয়রেখায় একাধিক অশুভ চিহ্ন থাকবে।
গ। রবিরেখা খণ্ডিত, কর্তিক বা অশুভ চিহ্নযুক্ত হবে।
প্রতিকার: টোপ্যাজ (topaz) বস্ রাই মুক্তা (এটা পারস্য উপসাগরে ঝিনুকের পেটে হয়) এবং পীত পোখরাজ (yellow sapphire) ধারণ প্রয়োজন।
চোখের রোগ হলে
ক। চন্দ্র ক্ষেত্র অধিক পুষ্ট হবে।
খ। রবিক্ষেত্র অপুষ্ট এবং কোনও অশুভ চিহ্ন থাকবে।
প্রতিকার: ইন্দ্রনীল বা ইন্দ্রমুখী নীলা (blue sapphire) বা অপরাজিতা নীলা বা উপরত্ন Emithist পরা যেতে পারে।
পেটের রোগ হলে
ক। মঙ্গলের প্রথম ক্ষেত্র অপুষ্ট এবং অশুভ চিহ্ন থাকবে।
খ। হৃদয়রেখায় যব বা ক্রশ চিহ্ন থাকবে।
গ। মঙ্গলের প্রথম ক্ষেত্রে তারকা চিহ্ন থাকবে।
প্রতিকার: সেরা রত্ন হল রক্তপ্রবাল (Blood red Coral) বেশি দামের জন্য কেনা সম্ভব না হলে Black Sapphire অথবা Tiger’s Eye চলতে পারে।