মঙ্গল নীচস্থ, অপ্রশস্ত, অশুভ ও কাটাকাটিযুক্ত হলে বা মঙ্গলে তিল থাকলে তা নানা অশুভ ঘটনা সূচিত করে। বিষয়সম্পত্তি, জমিজমা থাকে না বা থাকলে নষ্ট হয়। দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রভৃতিতে লিপ্ত হওয়া এবং আঘাত, রক্তপাত প্রভৃতি হতে পারে। আকস্মিক দুর্ঘটনার যোগ থাকে। জাতক-জাতিকার জীবনে দুর্বিপাক, দুঃখ ও নানা রোগভোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
এখন দেখে নেওয়া যাক কী কী উপায়ে মঙ্গলের প্রতিকার করা যেতে পারে-
১। হনুমানজীর উপাসনা করতে হবে। গায়ত্রী মন্ত্র রোজ যতবার সম্ভব জপ করুন।
২। চোখে সাদা সুরমা লাগাতে হবে। তন্দুরে তৈরি মিষ্টি রুটি বিতরণ করতে হবে।
৩। মধুর মিঠাই বা মিষ্টি দ্রব্য দান করতে হবে। মঙ্গলবার ব্রত রাখতে হবে।
৪। হনুমানজীকে কলা দান করতে হবে। তামার আংটি অনামিকায় ধারণীয়।
আরও পড়ুন: মানব জীবনে সাড়ে সাতির প্রভাব
৫। একটা মাটির সরা মধু দিয়ে পূর্ণ করে নিরিবিলি স্থানে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
৬। মুক্তা ও রূপার আংটি তর্জনীতে ধারণ করতে হবে।
মন্ত্র- ওঁ হুং শ্রীং মঙ্গলায়ঃ। জপ সংখ্যা ৮ হাজার বার।
গায়ত্রী- ওঁ অঙ্গারকায় বিদ্মহে শক্তিহস্তায় ধীমহিঃ তন্নঃ ভৌম প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম- ওঁ ধরণীগর্ভসম্ভুতং বিদ্যুৎপুঞ্জসমপ্রভম্। কুমারং শক্তিহস্তঞ্চ হোহিতাঙ্গং নমাম্যহম্।।
ইষ্টদেবতা- বগলামুখী।
ধারণরত্ন- প্রবাল।
ধূপ- দেবদারু।
বার- মঙ্গলবার।
প্রশস্ত সময়- সকাল ৯- ১২টা পর্যন্ত।