Bihar Murder

স্বামীর প্রেমিকাকে খুন করতে গিয়ে ভুল! স্কুটির রং এক হওয়ায় খুন হতে হল আর এক শিক্ষিকাকে!

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বিবাহবহির্ভূত এক সম্পর্ককে ঘিরে। বিহারের আরারিয়ার নরপটগঞ্জে হুসন আরা নামে এক মহিলা জানতে পারেন যে, এক স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:২৩
Share:

নিহত শিক্ষক শিবানী বর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

এক শিক্ষিকাকে খুন করতে গিয়ে ভুল করে আর এক শিক্ষিকাকে খুনের অভিযোগ উঠল বিহারে। ঘটনাচক্রে, দুই শিক্ষিকাই আবার একই স্কুলের। একই পথ ধরে, একই রঙের স্কুটি নিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বিবাহবহির্ভূত এক সম্পর্ককে ঘিরে। বিহারের আরারিয়ার নরপটগঞ্জে হুসন আরা নামে এক মহিলা জানতে পারেন যে, এক স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ওই শিক্ষিকা নরপটগঞ্জের খাবদাহ গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলে পড়ান। ওই শিক্ষিকা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করেন হুসন। কোন রাস্তা দিয়ে, কখন স্কুলে যাতায়াত করেন, কী রঙের স্কুটিতে যাতায়াত করেন ইত্যাদি তথ্য জোগাড় করেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড়ের পর তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেন হুসন। সেই পরিকল্পনামতো রাজা এবং ছোটু নামে দুই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার পর তাঁদের সহযোগিতায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে শিক্ষিকাকে খুনের সুপারি দেন হুসন। ভাড়াটে খুনিদের শিক্ষিকার বিবরণ দিয়ে দেন তিনি। স্কুটির রং কী কোন সময়ে যাতায়াত করেন, সেই তথ্যও দেন। ৩ ডিসেম্বর সকালে ওই রাস্তাতেই অপেক্ষা করতে থাকে দুই ভাড়াটে খুনি। পুলিশ সূত্রে খবর, যে শিক্ষিকাকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল, ঘটনাচক্রে তিনি সে দিন ছুটি নিয়েছিলেন। ওই দিন ওই পথ ধরেই স্কুলে যাচ্ছিলেন শিবানী বর্মা নামে অন্য এক স্কুলশিক্ষিকা। ভাড়াটে খুনিরা তাঁকেই হুসনের স্বামীর প্রেমিকা ভেবে বসেন। হুসনের স্বামীর প্রেমিকার স্কুটির রঙের সঙ্গে শিবানীর স্কুটির রং হুবহু এক ছিল। ফলে এই মহিলাই যে তাঁদের শিকার, স্কুটির রং দেখে আরও নিশ্চিত হন। তার পরই শিবানীর পিছু নেয় খুনিরা। স্কুলের কিছুটা আগেই তাঁর পথ আটকায় তারা। তার পর গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় শিবানীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

শিবানীর বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন, স্কুলেরই এক শিক্ষক এই খুনের সঙ্গে জড়িত। কারণ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ যখন তদন্তে নামে, তখন তারা জানতে পারে কাহিনি সম্পূর্ণ আলাদা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুই খুনিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই খুনিকে জেরার পর সত্য প্রকাশ্যে আসে। তার পরই গ্রেফতার করা হয় হুসনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement