প্রবাল হল সমুদ্রগর্ভ জাত এক প্রকার উদ্ভিদ। উষ্ণ সমুদ্রে বসবাসকারী প্রায় উদ্ভিদ জাতীয় প্রবাল নামক প্রাণীর কঙ্কাল থেকে রত্নটির উৎপত্তি। এর থেকে উৎপত্তি হওয়া রস প্রবালকে হিন্দিতে মুংগা, ফারসী ও আরবীতে মারজান, সংস্কৃতে বিদ্রুম ভৌমরত্ন, অঙ্গারক মণি, রক্তাংগ, রক্তকন্দ, অম্বুধিবল্লভ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।
প্রবালের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য - রত্নটি অস্বচ্ছ কঠিন ও বিভিন্ন রং হয়। প্রবাল রত্নটি বেশ টকটকে লাল বর্ণের হলে শুভ। তাছাড়াও ছিদ্র ও দাগশূন্য শিরা বা ফাটল ছাড়া, শক্ত অর্থাৎ কঠিন পুরু মসৃণ হলে শুভ।
প্রবালের প্রকার ভেদ- প্রবাল রত্নটি লাল রক্তবর্ণ, ষাঁড়ের রক্তের মতো, কমলা গৈরিক এবং সাদা বর্ণের হতে পারে। গাঢ় লালবর্ণ যুক্ত প্রবাল বিশেষ ফলপ্রদান করে থাকে।
প্রবালের প্রাপ্তি স্থান- রত্নটি ভূমধ্যসাগরে, লোহিত সাগরে, স্পেন, মরিশাস, মালায়েশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইটালির নেপলস অঞ্চলে পাওয়া যায়।
প্রবাল চেনার উপায়- রত্নটি ছিদ্র ও দাগশূন্য, শিরা বা ফাটল বিনা, শক্ত অর্থাৎ কঠিন পুরু ও মসৃণ হলে শুভ।
প্রবাল ধারণের ব্যবহার বিধি- একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য ১০-১২ রতি ধারণ করা উচিত।
প্রবাল শোধনের বিধি- রক্ত প্রবালকে শোধন করার জন্য ক্ষার জল ব্যবহার করা হয়। কাঁচা দুধে রক্তচন্দনে রেখে শোধন করা হয়। এছাড়া শাস্ত্রীয় মতে গ্রহ পূজা করে শোধন করা যায়।
প্রবাল ধারণের কাল- মঙ্গলবার প্রাতঃকালে স্নানের পর ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করে ধারণ করা উচিত।
প্রবাল ধারণের অঙ্গ- যে কোনও রত্ন ধারণের অঙ্গ মানেই হল দেহের ঊর্দ্ধ অঙ্গ অর্থাৎ করতলে পরতে হলে অনামিকায় পরা কর্তব্য।
প্রবাল ধারণের ধাতু- রত্নটি ধারণ করার জন্য তামা, রূপো বা সোনা ব্যবহার করা হয়।
প্রবাল ব্যবহারের উপকারিতা- সম্পদ বৃদ্ধিতে, ভূসম্পত্তি লাভে, চর্মরোগ নিবারণে এবং বিরুদ্ধ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকারার্থে সাহায্যকারী রত্ন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।