এখন চারদিকে কেবল ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। ফলে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বাস্তুশাস্ত্রের বিধান মেনে জমি কিনে, সেই জমিতে বাড়ি নির্মাণ এক প্রকারের অলীক কল্পনার ব্যাপার। জমির সমস্যা মেটাতে এখন তৈরি হচ্ছে বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি। একটি এককামরা বা দু-কামরার ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া এখন লটারি পাওয়ার সামিল। সুতরাং, ফ্ল্যাট বাড়ির স্থান নির্বাচন যেহেতু ফ্ল্যাটের মালিকের আয়ত্বাধীন নয়, তাই এ-ক্ষেত্রে মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে বাস্তুর নিয়মাবলী কি প্রযোজ্য হবেনা? এ ক্ষেত্রে উত্তর, অবশ্যই হবে, তবে দরকার ‘বাস্তু-কারেকশন’ অর্থাৎ ঘরের ভিতরের কিছু অদলবদল। য়ে কোনও ফ্ল্যাটের জন্য নীচের বিষয় গুলি প্রযোজ্য।
বাস্তু অশুভ হলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার ওপর তার কুপ্রভাব বিস্তার করে। তবে কি করা উচিতঃ-
১। পড়াশোনার সময় উত্তর, উত্তর-পূর্ব বা পূর্বদিকে মুখ করে বসতে হবে। পড়ার টেবিল যদি ঘরের উত্তর বা পূর্বদিকে থাকে তা হলে পড়া চট করে মনে থাকবে।
২। বদ্ধ দেওয়ালের দিকে মুখ করে পড়তে বসলে কখনোই পড়া মনে থাকবে না। পড়ার ঘরে তাজা ফুল রাখলে মন ভালো থাকবে।
৩। খাটে বসে কখনোই পড়াশুনা করা উচিত নয়। যদি বাড়িতে পড়ার টেবিল একান্তই না থাকে তাহলে অন্তত চেয়ারে বসে খাটটা টেবিলের মতো ব্যবহার করতে হবে।
আপনার ফ্ল্যাট বা বাড়ির অদলবদল এইভাবে ঘটিয়ে দেখুন। আপনার মন ও শরীর ভাল থাকবে এবং স্বভাবতই আপনি আরও কর্মক্ষম হয়ে উঠবেন। আর কে না জানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি আর শ্রীবৃদ্ধি পরস্পরের পরিপূরক।