—প্রতীকী ছবি।
জ্যোতিষশাস্ত্রে নানা দোষের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে একটি হল নাড়ীদোষ। আমাদের ধর্মে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, দু’জন মানুষের কোষ্ঠীর উপর নির্ভর করে তাঁরা সুখী দাম্পত্যজীবন কাটাতে পারবেন কি না। পাত্র বা পাত্রীর ছকে নাড়ীদোষ থাকলে বিয়ের পরে সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে মনে করা হয়।
নাড়ীদোষ কখন সৃষ্টি হয়?
নাড়ীদোষ তিন প্রকারের হয়। আদি নাড়ীদোষ, মধ্য নাড়ীদোষ ও অন্ত নাড়ীদোষ। জন্মছকে কোনও বিশেষ নক্ষত্রে চন্দ্রের অবস্থান থাকলে নাড়ীদোষের শিকার হতে হয় বলে মনে করা হয়। কোনও অভিজ্ঞ জ্যোতিষীকে দিয়ে কোষ্ঠীর বিচার করালে তিনি বলে দিতে পারেন আপনার ছকে নাড়ীদোষ আছে কি না, থাকলেও সেটি কী প্রকৃতির।
নাড়ীদোষ থাকলে কী হয়?
১. যে কোনও ক্ষেত্রে আকস্মিক ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
২. দাম্পত্যজীবনে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকে। সেই ঝামেলা বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
৩. সন্তানের উপরও নাড়ীদোষের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র।
৪. স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি ভালবাসা ও আকর্ষণ কমে যায়।
৫. সংসারে মতের অমিল লেগেই থাকে।
৬. প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, স্বামী বা স্ত্রীর কাউকে দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়।
নাড়ীদোষের প্রতিকার:
অনেকেই মনে করেন যে নাড়ীদোষ থাকলে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এই ধারণা যে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, তা নয়। তবে কোষ্ঠীতে কী প্রকার নাড়ীদোষ রয়েছে সেটি জেনে নিয়ে, সেই অনুযায়ী প্রতিকার পালন করলে এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষী আপনাদের সাহায্য করতে পারবেন। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর মতামত নিয়ে রত্ন ধারণ করতে পারেন। এরই সঙ্গে নাড়ীদোষ কাটানোর পুজোও করা যেতে পারে। তার বাইরেও কিছু উপায় পালন করা যেতে পারে।