এই বছরেই বর্ষায় বন্যার কবলে পড়েছে দেশের এক বিস্তির্ণ অংশ। নিজের বাসস্থান হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় কখনও ভূমিকম্পে প্রাণহানি ঘটে। হঠাত্ ধেয়ে আসা বিপদ সম্পর্কে আঁচ পাওয়ার আগেই ঘটে যায় প্রাণহানি। কিন্তু এই আকস্মিক ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা সম্পর্কে জোত্যিষশাস্ত্র কি বলছে একবার জেনে নেওয়া যাক...
১। রাহু-কেতুর আবেষ্টনে অধিক গ্রহ অবস্থান করলে, দুই অথবা দুই-এর অধিক গ্রহের যুতির সঙ্গে অবস্থান করলে অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা দেখা দেয়।
২। যখন গুরু-শনির যুতি, মঙ্গলের সঙ্গেও পূর্ণ দৃষ্টি সম্বন্ধ হয়, তখন ভূমিকম্প, বন্যা-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৩। যেখানে বৃহস্পতি যত বেশী পাপগ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখে সেখানে তত বেশী জন এবং ধনের হানি হয়।
৪। মঙ্গল, শনির যুতি, দৃষ্টি অথবা রাশি পরিবর্তন হলে প্রাকৃতিক বিপদের যোগ সৃষ্টি হয়।
৫। প্রধান গ্রহ তথা শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গলের স্থির রাশিগুলিতে স্থিত হওয়া, বক্রী হওয়া, বক্রী থেকে মার্গী হওয়া, শনি, মঙ্গল অথবা সংযুক্ত প্রভাব ইত্যাদির স্থিতি থেকে ভূমিকম্প ঘটতে পারে।
৬। যে স্থান অথবা দেশের সর্বত্র গ্রহণ দেখতে পাওয়া যায় সেই স্থান অথবা দেশে ভূমিকম্প হতে দেখা যায়।
৭। অনিষ্ট গ্রহ শনি এবং ভূমি, হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির কারক গ্রহ মঙ্গল, এই দুই গ্রহ যখন গোচরে স্থিত হয়, তখন অষ্টম ভাব বা অষ্টম ভাবের অধিপতি অর্থাৎ শনি-মঙ্গলের ও অষ্টম ভাবের অধিপতির গোচর সম্বন্ধ তৈরী হবে এবং এই সময় প্রাকৃতিক বিপদ দেখা দেয়। বৃহস্পতি জীবনদায়ক গ্রহ। সে যখনই পাপ গ্রহদের দ্বারা প্রভাবিত হবে তখনই তা জন-ধনের পক্ষে হানিকারক হবে।
৮। জ্যোতিষের প্রসিদ্ধশাস্ত্র বৃহৎ সংহিতা অনুসারে ভূমিকম্পের কারণ সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ বলে মনে করা হয়। যেখানে গ্রহণ স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যায় সেখানে ভূমিকম্পের পূর্ণ সম্ভাবনা থাকে।
৯। ভূমিকম্পের জ্যোতিষীয় কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, মঙ্গল ভূমির কারক গ্রহ, শনি ভূমি থেকে উদ্গত গ্যাস বা বায়ুর কারক গ্রহ, রাহু পৃথিবীর কম্পন এবং ধ্বংসের কারক গ্রহ। যখন মঙ্গল-শনি একে অপরকে পূর্ণ দৃষ্টিতে দেখে অথবা একে অপরের থেকে কেন্দ্র বা ত্রিকোণে এসে যায় তাহলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদি পঞ্চম এবং অষ্টম ভাবও পীড়িত হয় তাহলে ভূমিকম্প থেকে লোকসানের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।