গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ কখন ধারণ করবেন

দেখে নেওয়া যাক ‘গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ’ কখন ধারণ করবেন

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

শাস্ত্রানুযায়ী সংস্কার, শোধন এবং পুজোর পরে বিধিসম্মত ভাবে মন্ত্রপাঠ করে তবেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়। প্রতি মাসে অথবা দুই মাস অন্তর রুদ্রাক্ষকে জলে ভাল করে পরিষ্কার করে শুকোনোর পরে অল্প মাত্রায় চন্দন তেল লেপন করবেন। তাতে রুদ্রাক্ষের কান্তি সবসময় বজায় থাকে। প্রতেক বছর রুদ্রাক্ষকে শিবলিঙ্গের পাশে স্থাপন করে মহামৃত্যুঞ্জয় জপ এবং রুদ্রাভিষেক পূজন করলে রুদ্রাক্ষের প্রভাব বাড়তে থাকে। শাস্ত্র মতে এক ব্যক্তির ব্যবহার করা রুদ্রাক্ষ অন্য কেউ ধারণ করা নিষেধ। রুদ্রাক্ষ যেহেতু শিবের স্বরূপ, সেজন্য যত বেশি মানসিক এবং শারীরিক শুচিতা বজায় রাখবেন তত বেশি রুদ্রাক্ষের সুফল লাভ করবেন। ওঁ নমঃ শিবায়, ওঁ নমঃ শিবায়, ওঁ নমঃ শিবায়।।

Advertisement

এখন দেখে নেওয়া যাক ‘গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ’ কখন ধারণ করবেন-

আরও পড়ুন: ২০১৯ সালে বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না

Advertisement

এই রুদ্রাক্ষকে স্বয়ং শিব ও পার্বতীর যুগল রূপ হিসাবে মানা হয়। যে ব্যক্তির জীবনে দাম্পত্য সুখের অভাব আছে, অল্প কোনও কারণেই দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হয়ে যায়, তারা স্বামী কিংবা স্ত্রী অথবা উভয়েই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। এতে স্বামী-স্ত্রীর ভিতর যে ভুল বোঝাবুঝি থাকে তার নিরসন হবে এবং সুখী দাম্পত্য জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। প্রেম ঘটিত সমস্যার ক্ষেত্রে প্রেমিক বা প্রেমিকা অথবা উভয়েই এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন। যাঁদের জন্মছকে দেবগুরু বৃহস্পতির কারণে কোনও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, অথবা যাদের বৃহস্পতি কুপিত আছেন, যাদের বৃহস্পতির দশা চলছে, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল পাবেন। মহিলারা পূর্ণ ভক্তি নিয়ে এই গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষের পূজা পাঠ করতে পারলে সংসারে লক্ষ্মী অচলা থাকেন এবং সংসার সুখের হয়ে ধনসম্পদ ভরে ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement