ছবি: মেটা এআই।
সব মানুষ মুখে মুখে কথা বলতে পারেন না। কিন্তু এমন অনেকে আছেন যাঁদের মতো মুখে মুখে কথা বলার ক্ষমতা প্রায় কারোর নেই। তাঁদের সঙ্গে তর্কে জড়ালে হার নিশ্চিত। যে কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করার জন্য এঁরা সর্বদা প্রস্তুত। কেবল নিজের জন্যই না, তাঁদের কাছের মানুষেরা সে রূপ কোনও পরিস্থিতিতে পড়লেও এঁরা তর্কে নামতে রাজি আছেন। শাস্ত্রমতে, রাশিচক্রের বারোটি রাশির মধ্যে চারটি রাশির জাতক-জাতিকারা তর্কাতর্কির ব্যাপারে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে। জেনে নিন তাঁরা কারা।
মেষ: তর্কের লড়াইয়ে মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের হারানো এক প্রকার অসম্ভব। উত্তর সর্বদা এঁদের জিভের গোড়ায় লেগে থাকে। বিপরীত পক্ষে থাকা মানুষের মুখ থেকে কথা পড়তে পারে না, তার আগেই এঁরা উত্তর নিয়ে হাজির হয়ে যান। যুক্তি সাজিয়ে কথা বলার বিষয়ে এঁরা পটু। তাই এঁদের সঙ্গে পেরে ওঠা যায় না।
কর্কট: এমনিতেই কর্কট রাশির ব্যক্তিরা আবেগতাড়িত, তার উপর অযৌক্তিক কথা বলার ব্যাপারেও এঁদের জুড়ি মেলা ভার। এঁদের বিপরীত পক্ষে থাকা মানুষের কাছে এঁরা হারতে নারাজ। কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা ভুল করলেও সেটি তাঁরা মানতে পারেন না। তর্ক চালিয়েই যান যত ক্ষণ না অপর ব্যক্তিটি হার স্বীকার করে নেন।
কন্যা: তর্কের লড়াইয়ে অপর পক্ষকে চুপ করানো না পর্যন্ত কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা থামেন না। লড়াইকে যত দূর টেনে নিয়ে যাওয়া, এঁরা তত দূর টেনে নিয়ে যেতে রাজি আছেন। কোনও মতেই হার স্বীকার করতে রাজি নন কন্যা রাশির ব্যক্তিরা। অপরকে ভুল প্রমাণ করে এঁরা উৎকট আনন্দ পান।
ধনু: ধনু রাশির ব্যক্তিরা সৎ এবং যা বলার সেটি মুখের উপর বলে দিতেই বেশি পছন্দ করেন। সেই কারণে এঁদের সঙ্গে তর্ক করে পেরে ওঠা যায় না। এঁরা সর্বদা যুক্তি দিয়ে কথা বলেন, ফলত অপর পক্ষে থাকা ব্যক্তির আর বিশেষ কিছু বলার থাকে না। কিন্তু এঁদের সঙ্গে তর্ক বহু ক্ষণ ধরে চলে না। এঁদের যুক্তির সামনে প্রতিপক্ষ শীঘ্রই হার মেনে নেন।