হিমাচলপ্রদেশের কুলুতে ভয়াবহ ধস নেমে মৃত্যু হল ১০ জনের। মঙ্গলবার বেলা দু’টো নাগাদ পাহাড় থেকে বিরাট পাথরের চাঁই গড়িয়ে নামে মণিকরণের একটি গুরুদ্বার সংলগ্ন বহুতলের উপর। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে প্রাণ হারান ১০ পূণ্যার্থী।
কুলুর ডেপুটি কমিশনার রাকেশ কানওয়ার জানিয়েছেন, সকাল থেকে আবহাওয়া ভাল থাকলেও দুপুর দু’টো নাগাদ ধস নামে গুরুদ্বারের পাশের পাহাড়ে। সেখান থেকেই পাথরের চাঁই এসে খসে পড়ে সাত তলা বাড়িটির উপর। এতে গুঁড়িয়ে যায় বাড়িটির বেশির ভাগ অংশ। রাকেশ বলেন, ‘‘ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কংক্রিটের চাঙরের তলায় আটকে পড়েও কেউ বেঁচে আছেন কিনা সে খোঁজও চলছে।’’ দু্র্ঘটনায় গুরুতর আহত বহু মানুষ। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। মৃতদেহগুলি শনাক্তকরণের জন্য গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাথর গড়িয়ে নামতে দেখে প্রাণ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন পূণ্যার্থীরা। কিন্তু বহুতলটির বেশির ভাগ অংশই ভেঙে পড়ায় অনেকে ভিতরে আটকে পড়েন। পুলিশ, হোমগার্ড, জওয়ান-সহ প্রায় দু’শো উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেনয় সামিল হয়েছেন স্থানীয়রাও। তবে ধ্বংসস্তূপের তলায় ঠিক কত জন আটকে রয়েছেন তা স্পষ্ট হয়নি দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও।
কুলুর জেলা সদর দফতর থেকে মণিকরণের দুরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। পার্বতী নদীর ধারে ওই গুরুদ্বার সংলগ্ন বহুতলটিতে বহু তীর্থযাত্রী আশ্রয় নেন। দুর্ঘটনার সময়েও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।